অয়ন ঘোষাল: চেনা ধর্মতলা বদলে যাবে (Dharmatala)! বদলে যাবে শহরের (Kolkata) প্রাণকেন্দ্রের ছবিটা! বদলে যাবে আগামিকাল ১০ ডিসেম্বর থেকেই। আগামিকাল ১০ ডিসেম্বর থেকে ধাপে ধাপে সরে যাবে ধর্মতলার শতাব্দীপ্রাচীন 'এল ২০ বাসস্ট্যান্ড' (L20 Busstand)। জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রোপথে এসপ্ল্যানেড স্টেশন তৈরির জন্য এই বাসস্ট্যান্ড সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যাত্রীরা ধর্মতলার এই বাসস্ট্যান্ড থেকে আর বাস ধরতে পারবেন না। তাঁদের যেতে হবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর নতুন গ্রিন লাইন এসপ্ল্যানেড স্টেশনের কাছে।
আগামীকাল ১০ তারিখ প্রথম ধাপে ডব্লুবিটিসি, এনবিএসটিসি-র বাসগুলো সরে যাবে এখান থেকে। দ্বিতীয় ধাপে সরানো হবে এসবিএসটিসির বাসগুলো। ডব্লুবিটিসি, এসবিএসটিসি, এনবিএসটিসি মিলিয়ে দিনে ৩০০-৩৫০টি বাস চলাচল করে এই টার্মিনাস থেকে। রোজ হাজার হাজার মানুষ আসেন বাস ধরতে। তাঁদের আগামী দিনে নয়া স্ট্যান্ড থেকে বাস ধরতে হবে। বিধান মার্কেট (Bidhan Market) এবং 'এল-২০' বাসস্ট্যান্ডের এলাকায় মেট্রোর কাজ চলবে। সেই কারণেই এই দুই জায়গা স্থানান্তর করা হবে। এই এলাকায় নিউ গড়িয়া-দক্ষিণেশ্বর, হাওড়া ময়দান-সেক্টর ফাইভ এবং জোকা-এসপ্ল্যানেড তিন মেট্রো মিলিত হবে। তিনতলা স্টেশন হবে। যাত্রীরা এক মেট্রো থেকে নেমে অন্য মেট্রোয় উঠতে পারবেন। ফলে চলবে বিরাট কর্মকাণ্ড। আর সে কারণেই সরে যাচ্ছে এই বাসস্ট্যান্ড।
শহরের শতাব্দী প্রাচীন এই সরকারি বাস স্ট্যান্ড কলকাতার অন্যতম নস্টালজিয়া। ধর্মতলা কলকাতা শহরের প্রাণকেন্দ্র হয়ে ওঠার নেপথ্যে আসলে এই বাসস্ট্যান্ড। তাই ডিপো কর্মী, চায়ের দোকানি থেকে স্বয়ং পরিবহন মন্ত্রী, সকলেই ঈষৎ নস্টালজিক। এতদিন, এত বছরের চেনা জায়গা ছেড়ে যেতে সকলেরই মন কেমন!
শুধু 'এল-২০' বাসস্ট্যান্ডই নয়, সরিয়ে ফেলা হবে বিধান মার্কেটও। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ ও সিধু কানহু ডহরের মাঝামাঝি জায়গায় নির্মাণ হচ্ছে বিধান মার্কেটের দোকানঘর। দোতলা বিল্ডিং তৈরি করা হবে বলে জানানো হয়েছে। সেখানে শুধু দোকানঘর নয়, ফুড কোর্ট, পার্কিং লট, শৌচাগারও থাকবে বলে জানানো হয়েছে। নয়া বাসস্ট্যান্ড তৈরির যাবতীয় খরচ বহন করছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।