সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনা যে দীর্ঘ পরিকল্পনার ফসল ক্রমশ তা স্পষ্ট হচ্ছে। এবার তদন্ত সূত্রে জানা গেল, দিল্লিতে বিস্ফোরণের আগে জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগের জঙ্গলে বোমা পরীক্ষা করেন অভিযুক্ত চিকিৎসক উমর মহম্মদ। পরীক্ষা সফল হওয়ার পর দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয় সেই বোমা।
দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল দুই চকিৎসক আদিল রাথর এবং জসির বিলাল ওয়ানিকে। মঙ্গলবার তাদের সঙ্গে নিয়ে আনন্তনাগের জঙ্গলে যায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, সিআরপিএফ এবং এনআইএ-র তদন্তকারীরা। বোমার পরীক্ষা করার জায়গাটি চিহ্নিত করা হয়। তদন্তকারীরা বোমা পরীক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত বেশ কিছু উপাদান উদ্ধার করেছেন। যার মধ্যে একটি ক্ষতিগ্রস্ত গ্যাস সিলিন্ডারও রয়েছে। এই জঙ্গলেই বেশ কিছু দিন ধরে চিকিৎসক উমর আশ্রয় নিয়েছিলেন বলেও জানা গিয়েছে।
এর আগে দিল্লি বিস্ফোরণের উপকরণ কোথা থেকে সরবরাহ হয়েছিল, তা জানতে কাশ্মীরের গান্দেরবাল, শ্রীনগরের বাতামালুতে চলছে চিরুনি তল্লাশি হয়। এছাড়াও দিল্লি বিস্ফোরণে ধৃত তুফায়েল নিয়াজ ভাটের বাড়িতেও চালানো হয়েছে তল্লাশি। তবে সেখান থেকে সন্দেহজনক কিছু উদ্ধার হয়েছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, এই তুফায়েলের সঙ্গে যোগ ছিল জঙ্গি চিকিৎসক আদিল আহমেদ রাথরের। অভিযোগ, তুফায়েলই তার কাছে পৌঁছে দিয়েছিল একটি রাইফেল। অন্যদিকে, ওয়াকুরা এলাকায় আরও এক অভিযুক্ত জমির আহাঙ্গারের বাড়িতেও এদিন তল্লাশি চালিয়েছেন তদন্তকারীরা। শুধু বিস্ফোরণের উপকরণ নয়, ‘হোয়াইট কলার’ জঙ্গি মডিউলটির অস্ত্রভাণ্ডারের খোঁজেও উপত্যকায় চলছে তল্লাশি।
উল্লেখ্য, দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) দেশজুড়ে একাধিক জায়গায় তল্লাশি ও ধরপাকড় শুরু করেছে। তদন্তে নেমে শ্রীনগর-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একাধিক চিকিৎসককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা বেশিরভাগই কাশ্মীরের। জানা গিয়েছে, ওই ‘জেহাদি’ চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগ ছিল দিল্লি বিস্ফোরণের।