সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিরাপত্তা দেওয়া যার কাজ, সেই তিনিই কিনা ভয়ঙ্কর নির্যাতনের শিকার! এবার উত্তরপ্রদেশে পণের দাবিতে অত্যাচারের শিকার হলেন মহিলা পুলিশকর্মী। পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে দিনের পর দিন নির্যাতনের পাশাপাশি ২৭ বছরের তরুণীর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তাঁর ভাসুরের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের পিলভিটে।
জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে মিরাটে বিয়ে হয়েছিল ওই তরুণীর। তাঁর স্বামীও উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত। তরুণীর অভিযোগ অনুযায়ী, বিয়ের সময় তাঁর বাবা গাড়ি, গয়না-সহ অন্যান্য উপহার মিলিয়ে বিয়েতে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা খরচ করেন। তবে বিয়ের পর থেকেই তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন এসইউভি গাড়ির দাবি তোলে। এরপরই শুরু হয় অত্যাচার। তরুণীর স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, দুই ভাসুর এবং তাঁদের স্ত্রীরা মিলে লাগাতার নির্যাতন চালায় তাঁর উপর। স্যানিটাইজার খাওয়ানো হয়। এর ফলে মিরাটের এক হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয় তাঁকে।
এছাড়া তরুণীর আরও অভিযোগ, গর্ভবর্তী থাকাকালীন পুত্র সন্তানের দাবিতে তাঁকে নানান ওষুধ খাওয়ানো হত। এরফলে গর্ভস্থ ভ্রূণের খিঁচুনির মতো সমস্যা দেখা দেয়। এমনকী গত ৫ অক্টোবর মিরাটের বাড়িতে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তরুণীকে তাঁর ভাসুর ধর্ষণ করেন বলেও অভিযোগ।
তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় থানার শ্বশুরবাড়ির সাত সদস্যের বিরুদ্ধে গার্হস্থ হিংসা, মারধর এবং পণপ্রথা প্রতিরোধ আইনের যথাযথ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।