• নাগরিকত্বের আগে ভোটাধিকার! জন্মদিনেই সোনিয়া গান্ধীকে নোটিস আদালতের
    প্রতিদিন | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জন্মদিনেই দুঃসংবাদ। আইনি নোটিস পেলেন কংগ্রেসের সংসদীয় দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধী। বহু বিতর্কিত নাগরিকত্ব ও ভোটার তালিকায় নাম ওঠা নিয়ে সোনিয়াকে নোটিস পাঠাল দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ কোর্ট। নাগরিকত্ব বিতর্কে সোনিয়ার অবস্থান জানতে চেয়েছে ওই বিশেষ আদালত। একই সঙ্গে নোটিস পাঠানো হয়েছে আদালতের তরফে।

    সোনিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১৯৮০ সালে ভোটার তালিকায় নাম তোলা হয়েছিল তাঁর। যদিও তিনি আরও তিন বছর পরে ভারতের নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। কিছুদিন আগে এক্স হ্যান্ডেলে ১৯৮০ সালের দিল্লির একটি বুথের তালিকার ছবি পোস্ট করেন বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। সেই তালিকায় দেখা গিয়েছে সোনিয়া গান্ধীর নাম। মালব্য দাবি করেন, ১৯৮০ সালের ভোটার তালিকা সংশোধন করার সময় সোনিয়ার নাম যুক্ত করা হয়। তিনি আরও দাবি করেছেন, জনগণের বিরোধিতার মুখে সেই নাম ১৯৮২ সালে বাদ দেওয়া হলেও ১৯৮৩ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁকে ফের তালিকাভুক্ত করা হয়। যদিও ১৯৮৩ সালের এপ্রিল মাসে ভারতের নাগরিকত্ব পান সোনিয়া।

    এই অভিযোগে সোনিয়ার বিরুদ্ধে আগেই মামলা দায়ের হয়েছিল দিল্লির এক ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। সেই মামলা দায়েরের আর্জি খারিজ করে দেয় আদালত। আদালত জানিয়েছিল, নির্বাচন কমিশনের এক্তিয়ারভুক্ত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা যায় না। । নিম্ন আদালতের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে যান বিকাশ ত্রিপাঠী নামের আইনজীবী। তাঁর দাবি, ১৯৮২ সালের ভোটার তালিকা থেকে সোনিয়ার নাম মুছে দেওয়ার পর ১৯৮৩ সালে জাল নথির মাধ্যমে ফের তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাঁর অভিযোগ, সেসময় কিছু না কিছু নথি জাল করা হয়েছিল। এ নিয়ে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা দায়েরর অনুমতি চাওয়া হয়েছে। সেই মামলায় আদালত সোনিয়া এবং দিল্লি পুলিশকে নোটিস পাঠিয়েছে।

    ঘটনাচক্রে মঙ্গলবারই সোনিয়া গান্ধীর জন্মদিন। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে শাসকদলের সকলেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আবার দেশজুড়ে কংগ্রেস নেতারাও তাঁর জন্মদিন পালন করেছেন।
  • Link to this news (প্রতিদিন)