• খসে পড়ছে পলেস্তারা, ভাঙা টালির চালে ঝুলছে পলিথিন, বেহাল দশা মহিষরেখার পোস্ট অফিসের
    এই সময় | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • উলুবেড়িয়ার মহিষরেখা এলাকার পোস্ট অফিস। বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই যে, এটি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। দেওয়াল থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা, টালির চালে ফাটল। আর বর্ষার দিনে একমাত্রা ভরসা টালির চালে লাগানো কালো পলিথিন। তবে এই পরিস্থিতিতেও দায়িত্ব পালনে কোনও খামতি রাখছেন না পোস্ট মাস্টার দিয়া নায়েক।

    স্থানীয় সূত্রে খবর, ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে মহিষরেখা এলাকার একমাত্র পোস্ট অফিস এটি। বছরের পর বছর ধরেই বেহাল দশা সরকারি এই বাড়ির। বারংবার প্রশাসনকে জানানোর পরেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। যার জেরে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বিপজ্জনক অবস্থা সরকারি এই অফিসের।

    মহিষরেখার এই পোস্ট অফিসের অধীনে রয়েছে ১১টি গ্রাম এবং শিল্পাঞ্চলের চিঠিপত্র ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিস সরবরাহের দায়িত্ব। কিন্তু পুরো এলাকার জন্যে বরাদ্দ মাত্র একজন কর্মী। যার জেরে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের।

    স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই এই পোস্ট অফিসের এমন বেহাল দশা। শুধু ভবনের নয়, পোস্ট অফিসে নিজস্ব বিদ্যুৎ সংযোগ পর্যন্ত নেই। ফলে বাধ্য হয়ে পাশে থাকা অবসরপ্রাপ্ত এক পোস্ট মাস্টারের বাড়ি থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে। আরও অভিযোগ, একজন কর্মী থাকায় সময় মতো কাগজপত্রও খুঁজে পাওয়া যায় না। এমনকি পোস্ট মাস্টারকেও নিয়মিত পোস্ট অফিসে পাওয়া যায় না।

    মহিষরেখা শাখা পোস্ট অফিসের অবসরপ্রাপ্ত পোস্ট মাস্টার ভানু কর বলেন, ‘২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পুরোনো এই ভবন ভেঙে নতুন করে গড়ার কথা হয়েছিল। কিন্তু তার পর আর কোনও অগ্রগতি হয়নি। চলতি বছরের জুলাই মাসেও একবার মাপজোক হয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি সেই একই রকম।’

    বর্তমান পোস্ট মাস্টার দিয়া নায়েক বলেন, ‘অত্যন্ত খারাপ অবস্থার মধ্যেই সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিতে হচ্ছে।’ তাঁর অভিযোগ, মাঝে মাঝেই সাপ, বিছে, গোসাপ ঢুকে পড়ে পোস্ট অফিসে। যে কোনও সময়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

    দিয়া আরও বলেন, ‘একা হাতে কাজ করার জন্যে গ্রাহকদের কাছ থেকেও প্রচুর অভিযোগ আসে। সঠিক পরিষেবা দিতে গেলে আরও দু’জন কর্মী প্রয়োজন। একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। আমার বসার জায়গাটুকুও নেই।’ এ বিষয়ে বাগনানের পোস্ট মাস্টার বি সাহুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে, তিনি ফোন ধরেননি।

  • Link to this news (এই সময়)