ফেরার মালিকদের অন্য নাইট ক্লাবও গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন, গোয়া অগ্নিকাণ্ড: লুথরা ভাইয়ের বিরুদ্ধে ব্লু কর্নার নোটিশ
বর্তমান | ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
পানাজি: উত্তর গোয়ার ‘বার্চ বাই রোমিও লেন’ নাইটক্লাবের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। ২৫ জনের মৃত্যুর নেপথ্যে প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগই উঠে এসেছে। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেই বিদেশে পালিয়ে গিয়েছেন নাইটক্লাবটির দুই মালিক সৌরভ ও গৌরব লুথরা। এই ঘটনায় বিরোধীদের তীব্র আক্রমণের মুখে পড়েছে গোয়ার বিজেপি সরকার। এই অবস্থায় ড্যামেজ কন্ট্রোলের মরিয়া চেষ্টা শুরু করেছে সরকার। মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের নির্দেশে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল ভ্যাগেটরে লুথার ভাইদের অন্য একটি নাইটক্লাব। এ বিষয়ে গোয়া পর্যটন বিভাগের উপ-পরিচালক ধীরাজ ওয়াগালে বলেন, সৈকতের উপর মোট ১৯৮ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে থাকা অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলা হবে। ভ্যাগেটরে লুথারদের ক্লাবটিও অবৈধ বলে অভিযোগ ছিল।
এতদিন প্রশাসনের মদতে সেখানেই ব্যবসা চলত বলে অভিযোগ। অগ্নিকাণ্ডের পর সব দুর্নীতি সামনে আসছে। জানা গিয়েছে, ভ্যাগেটের এই অবৈধ ক্লাব সম্পর্কে পুলিশ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড সহ একাধিক প্রশাসনিক দপ্তরে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে কেউ কোনও পদক্ষেপ করেনি। সূত্রের খবর, স্থানীয় প্রশাসনের একাংশের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল ক্লাব মালিকদের। তাই এমন বেপরোয়াভাবে অবৈধ কারবার চালিয়ে যেতে পেরেছেন সৌরভ-গৌরব। ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডের পাঁচ ঘন্টার মধ্যেই দেশ ছেড়ে পালান দুজনে। জানা যায়, রবিবার লুক আউট নোটিশ জারির আগেই থাইল্যান্ডের ফুকেত পালিয়েছেন তাঁরা। এরপর সিবিআইয়ের ইন্টারপোল বিভাগের দ্বারস্থ হয় গোয়া পুলিশ। অভিযুক্তদের হাতে পেতে ব্লু কর্ণার নোটিশও জারি করা হয়। এরইমধ্যে ফুকেত বিমানবন্দরে গৌরবের ছবি সামনে এসেছে বলে খবর। গোয়া পুলিশের ডিজি অলোক কুমার জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের পর রাত তিনটে নাগাদ দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছন দুই লুথরা ভাই। এরপর রবিবার ভোর সাড়ে পাঁচটার ফ্লাইটে বিদেশে পালিয়ে যান তাঁরা।