• কাশ্মীরের জঙ্গলে বোমা পরীক্ষা করেছিল উমর নবি, দাবি এনআইএ-র
    বর্তমান | ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নয়াদিল্লি: দিল্লির লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণের পরিকল্পনা যে একদিনে করা হয়নি, এতদিনে তা স্পষ্ট হলো। ল্যাবরেটরিতে বিস্ফোরকের উপর রীতিমতো গবেষণা চালিয়ে তারপর ফিল্ড টেস্টিং (হাতেকলমে পরীক্ষা করে দেখা) করেই দিল্লিতে হামলার জন্য তৈরি হয়েছিল জঙ্গিরা। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ’র সাম্প্রতিক তদন্ত সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লিতে বিস্ফোরণের আগে জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগের জঙ্গলে বোমা পরীক্ষা করেছিল অভিযুক্ত চিকিৎসক মহম্মদ উমর নবি। পরীক্ষা সফল হওয়ার পরই দিল্লি ও সংলগ্ন ফরিদাবাদের একাধিক জায়গায় সেই বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়া হয়।

    মঙ্গলবার সকালে বিস্ফোরণকাণ্ডে ধৃত দুই চিকিৎসক আদিল রাঠের এবং জসির বিলাল ওয়ানিকে সঙ্গে নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার মাট্টানের জঙ্গলে পৌঁছোয় এনআইএ। সঙ্গে ছিল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ ও সিআরপিএফ। জঙ্গলের ভিতর চিরুনি তল্লাশি চলাকালীন ধৃতরাই বোমা পরীক্ষার জায়গাটি চিনিয়ে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি ক্ষতিগ্রস্ত গ্যাস সিলিন্ডার সহ বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে। এই জঙ্গলেই বেশ কিছু দিন উমর ঘাঁটি গেড়েছিল বলে মনে করছে এনআইএ। প্রথমদিকে বিষয়টিকে আচমকা ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণ বলে চালানো হলেও বাস্তবে সেটা মোটেও নয়। বরং দীর্ঘদিন ধরে নিখুঁত পরিকল্পনা ও রূপরেখা তৈরি করে মেডিকেল মডিউল এই হামলা ঘটিয়েছে। এদিকে, দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে ধৃত অন্যতম চক্রী আমির রশিদ আলিকে মঙ্গলবার আদালতে তোলা হলে, তাকে আরও ৭ দিন এনআইএ হেপাজতের নির্দেশ দেন বিচারক অঞ্জু বাজাজ চান্দনা। 
  • Link to this news (বর্তমান)