সন্দীপন দত্ত, মালদহ: বিনা লাইসেন্সেই চলছে মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক। সূত্রের খবর, লম্বা সময় ধরে এই ব্লাড ব্যাংকের লাইসেন্স রিনিউ হয়নি। যদিও লাইসেন্স রিনিউয়ের আবেদন করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি ডাঃ প্রসেনজিৎ বর বলেন, ব্লাড ব্যাংকের লাইসেন্স রিনিউয়ালের প্রক্রিয়া চলছে।
মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক বছরের বেশি সময় ধরে ব্লাড ব্যাংকের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। লাইসেন্স রিনিউয়ের জন্য আবেদন জানানো হলেও এখনও সেটি হাতে আসেনি। মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, যথা সময়ে লাইসেন্স রিনিউয়ের জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বহু নতুন নতুন বিভাগ এখানে চালু হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা। যে কারণে ড্রাগ কন্ট্রোল থেকে বেশকিছু বিষয় পরিবর্তন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেসব কারণের জন্যই লাইসেন্স পেতে কিছুটা সময় লাগছে।
মালদহ জেলা হাসপাতাল ২০০৮ সালে উন্নীত হয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেই সঙ্গে চালু হয়েছে নতুন নতুন বিভাগ। বেড়েছে হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা। জেলা হাসপাতাল থাকার সময় থেকেই এখানে ব্লাড ব্যাংক চলছে। এই ব্লাড ব্যাংক মালদহ জেলা তো বটেই, গৌড়বঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলির মধ্যেও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন বহু মানুষ এই ব্লাড ব্যাংকের উপর নির্ভরশীল। নিয়মিত এখানে কমবেশি প্রায় সবকটি গ্রুপের রক্তই মজুত থাকে।
মালদহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ পার্থপ্রতিম ঘোষ বলেন, ব্লাড ব্যাংকের লাইসেন্সটা খুব জরুরি। আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি দেখছি এবং লাইসেন্সটা তাড়াতাড়ি করাতেই হবে।
মেডিকেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এক বছর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ১৬ তম কমন রিভিউ মিশনের আওতায় একটি প্রতিনিধি দল মালদহে আসে। সেই সময় দলটি মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিকাঠামো সহ বিভিন্ন বিষয় ঘুরে দেখেছিল। তখনই মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাংকের লাইসেন্স না থাকার বিষয়টি সামনে আসে। যা নিয়ে কেন্দ্রের ওই প্রতিনিধি দল রীতিমতো উষ্মা প্রকাশ করেছিল। নড়েচড়ে বসে মেডিকেল কর্তৃপক্ষও।
মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য তথা ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, এই বিষয়ে কিছু জানি না। এমএসভিপির সঙ্গে এপ্রসঙ্গে কথা বলব। তবে, সরকারের যেটা নিয়ম আছে, সবাইকে মেনে চলতে হবে।