রেজিস্ট্রেশনে বেশি টাকা চাওয়ার অভিযোগ, গ্রামীণ এলাকায় টোটো ধর্মঘটের ডাক
বর্তমান | ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: গাজোলে টোটো রেজিস্ট্রেশনের জন্য অতিরিক্ত টাকা চাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ চালকদের একাংশের। সেজন্য ওই ব্লকের গ্রামীণ এলাকার টোটো চালকরা বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ওইদিন ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে হাজী নাকু মহম্মদ হাইস্কুলের মাঠে জমায়েত করে ক্ষোভ উগরে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে গ্রামীণ টোটো চালক মঞ্চ সূত্রে জানা গিয়েছে। এজন্য ভোগান্তির মুখে পড়তে পারে আম জনতা বলে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
মালদহ আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিক অনুপম চক্রবর্তী বলেন, বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিকে (বিএসকে) ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। তাদের কাছে গেলে কাজ হয়ে যাবে। যেকোনও কাজে অশুভ চক্র থাকে। এক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হলে, কারও পাল্লায় পড়লে আমাদের হেল্প লাইনে যোগাযোগ করতে হবে। আমাদের কাছে এলে খতিয়ে দেখা হবে।
প্রশাসন এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গাজোলের ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতে আট হাজারের বেশি টোটো রয়েছে। ই-রিকশ রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে ডিলারের মাধ্যমে। আর অতীতে বিভিন্ন কারখানা থেকে চালকরা যে টোটো কিনেছেন, সেগুলি রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে। তার জন্য লাগছে ১৬৪৫ টাকা। ই-রিকশ রেজিস্ট্রেশনের জন্য লাগছে ২৫০০ টাকার বেশি। ওই টাকা দিলে এক বছরের বেশি সময় মেয়াদ থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
গ্রামীণ টোটো চালক মঞ্চের সদস্য নিখিল সাহা বলেন, ই-রিকশ এবং টোটো, দু’টি ক্ষেত্রেই বেশি টাকা চাওয়া হচ্ছে। আরও দুই সদস্য বাবলা সরকার এবং রাকেশ সিংহ বলেন, পরিবহণ দপ্তরের লোক বলে পরিচয় দিয়ে কিছু লোক বলছে এককালীন ১৮ হাজার টাকা লাগবে, কেউ বলছেন ৫ হাজার টাকা রেজিস্ট্রেশনের জন্য লাগবে। সব মিলিয়ে আমরা দিশাহীন। জরুরি কাজে আসা মানুষদের জন্য টোটো চলাচলে ছাড় দেওয়া হবে।
আইএনটিটিইউসি’র মালদহ জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ হালদার বলেন, এটা নিয়ে পিছন থেকে কেউ খেলছে। বিজেপির মদত এবং চক্রান্ত রয়েছে। আইন আইনের পথে চলবে। বিজেপি’র স্থানীয় মণ্ডল সভাপতি নীহার মণ্ডল বলেন, তৃণমূল সব কিছুতেই বিজেপির চক্রান্ত দেখতে পায়। গরিব মানুষ এত টাকা কোথায় পাবে।