সংবাদদাতা, বর্ধমান: দেওয়ানদিঘি থানার হলদি–দেপাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। মঙ্গলবার সকালে সিলিং ফ্যানের হুকে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁকে ঝুলতে দেখেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ওড়না কেটে নামিয়ে তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাপেরবাড়ির অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে শ্বাসরোধ করে ফ্যানের হুকে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। মৃতার নাম পায়েল খাঁ(১৫)। মঙ্গলকোট থানার নপাড়ায় তাঁর বাপেরবাড়ি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন পায়েলের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত। ঘটনার আগের দিন রাতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওই বধূর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। মৃতার মা সুষমা খাঁ বলেন, বছরখানেক আগে ফেসবুকে হলদি–দেপাড়ার এক যুবকের সঙ্গে মেয়ের পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর তারা পালিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়ের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। ও গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করার মতো মেয়ে নয়। ওকে মারধরের পর শ্বাসরোধ করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এবিষয়ে দেওয়ানদিঘি থানায় লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মন্তেশ্বরে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে মৃত্যু: অন্য একটি ঘটনায় মন্তেশ্বর থানার পারুলিয়ায় মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম উত্তম রায়(৬২)। দিনকয়েক আগে বাড়িতেই মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে নেন। তার জেরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে মন্তেশ্বর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি নানান রোগে ভুগছিলেন। ইদানীং তাঁর শারীরিক সমস্যা বেড়ে যায়। রোগযন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে তিনি মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে নেন।
জামালপুরে আত্মঘাতী প্রৌঢ়: জামালপুর থানার শম্ভুপুরে কীটনাশক খেয়ে এক প্রৌঢ় আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃতের নাম সুনীল সাঁতরা(৫৮)। সোমবার সন্ধ্যায় বাড়িতে তিনি কীটনাশক খান। তাঁকে জামালপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। মঙ্গলবার সকালে তিনি মারা যান। তাঁর আত্মহত্যার কারণ নিয়ে পরিষ্কারভাবে কিছু জানাতে পারেননি পরিবারের লোকজন।