কোলাঘাটে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু
বর্তমান | ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: মঙ্গলবার দুপুরে কোলাঘাটে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ ইন্সপেক্টরের গাড়ির ধাক্কায় এক সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম সুদীপ চক্রবর্তী(৩৮)। বাড়ি কোলাঘাট থানার মান্দারগেছিয়া গ্রামে। এদিন বেলা ২টো নাগাদ কোলাঘাট থানার হলদিয়া মোড়ে জাতীয় সড়কের ধারে ট্রাফিক ডিউটিতে যোগ দেন সুদীপ। থানায় হাজিরা জানানোর জন্য সেলফি তুলে পোস্ট করার সময় আচমকাই হাওড়ার দিক থেকে আসা প্রাইভেট গাড়িটি তাঁকে ধাক্কা মারে। সুদীপ ডিভাইডারে ছিটকে পড়েন। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার জেরে পুলিশ মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে।
জানা গিয়েছে, ঘাতক গাড়ির মালিক অবসরপ্রাপ্ত ইন্সপেক্টরের। গতবছর তিনি অবসর নেন। তার আগে কোলাঘাটে পোস্টিং ছিলেন। তাঁর প্রাইভেট গাড়িটি মেচেদায় একজনের গ্যারাজে ছিল। সেই গাড়ি হাওড়ার দিক থেকে মেচেদায় ফেরার সময় দুর্ঘটনা ঘটে। ওই গাড়ির সামনে পুলিশ স্টিকার সাঁটানো রয়েছে। প্রসঙ্গত, ভালো কাজ করার জন্য ২০২৩সালে শংসাপত্র পেয়েছিলেন সুদীপ। তাঁর বাড়িতে বাবা-মা ছাড়াও স্ত্রী এবং আট বছরের ছেলে ও তিন বছরের মেয়ে রয়েছে। তাঁর বাবা দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী। এদিন দুর্ঘটনার পর আশপাশের বহু মানুষ মৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে হাজির হয়। নিহত সুদীপের বন্ধু তুষার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সুদীপ ট্রাফিকে ডিউটি করত। নিষ্ঠার সঙ্গে ডিউটি করায় জন্য পুলিশ সুপারের কাছ থেকে প্রশংসাসূচক চিঠি পেয়েছে। এলাকার কেউই ওর এমন মর্মান্তিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না।
দুর্ঘটনার পর জাতীয় সড়কে যান চলাচল দীর্ঘক্ষণ ব্যাহত হয়। কোলাঘাট থেকে নন্দকুমারমুখী ১১৬নম্বর জাতীয় সড়কে বাস ও অন্যান্য যানবাহন স্তব্ধ হয়ে পড়ে। মেচেদা, রাধামণি, নিমতৌড়ি প্রভৃতি স্টপেজে দীর্ঘক্ষণ ধরে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়েছিলেন যাত্রীরা। কাঁথি অভিমুখে যাওয়ার জন্য যাত্রীরা দীর্ঘক্ষণ বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়েছিলেন।
অবসরপ্রাপ্ত ওই ইনসপেক্টর বলেন, খড়্গপুরে আমার বাড়ি। সেই বাড়িতে এখন কাজ হচ্ছে। যেকারণে গাড়িটি মেচেদায় গ্যারাজে রাখা ছিল। গ্যারাজ মালিকের কাছেই চাবি ছিল। সেই গাড়িতে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জেনেছি। খুবই মর্মান্তিক খবর। • মৃত সিভিক। -নিজস্ব চিত্র