• বড়দিন আসন্ন, সাজছে হোলি ট্রিনিটি চার্চ, হবে উৎসব ও মেলা
    বর্তমান | ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্ৰাম: বড়দিন উপলক্ষ্যে সেজে উঠেছে ঝাড়গ্রাম শহরের হোলি ট্রিনিটি চার্চ। চার্চ কতৃপক্ষের তরফে এবার বড় করে সাংস্কৃতিক উৎসব ও মিলন মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। 

    ঝাড়গ্রামের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে উৎসবের প্রস্তুতি শুরু গিয়েছে। প্রথা মেনে বাড়িতে বাড়িতে ক্রিসমাস ট্রি ও গোশালা তৈরি শুরু হয়ে গিয়েছে। ক্যাথলিক হোলি ট্রিনিটি চার্চ ঝাড়গ্রামের অন্যতম পর্যটনস্থল। ধুমধাম করে হোলি ট্রিনিটি চার্চে বড়দিন পালন করা হয়। চার্চ কর্তৃপক্ষ এবার প্রথমবার মিলন মেলার আয়োজন করছে। বড় করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। ১৮৫২ সালে চার্চটি স্থাপিত হয়। বেলজিয়াম থেকে জেসুইট সম্প্রদায়ে মানুষরা উনিবিংশ শতকের গোড়ায় ঝাড়গ্রাম এসেছিলেন। কলাবনী সংলগ্ন জঙ্গল এলাকায় প্রথমে ছোট চার্চ তৈরি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে বড় করে চার্চটি তৈরি করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে ট্রিনটি চার্চ সেই সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলি। ঝাড়গ্রামের জোয়ালভাঙায়  রয়েছে বেলজিয়ান এক জেসুইট সন্ন্যাসীদের সমাধিস্থল। জেলার খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ বড়দিনে চার্চের পাশাপাশি সেখানেও প্রার্থনা করেন। চার্চের ফাদার কুরিয়াস্কো জর্জ বলেন, এই প্রথম চার্চের তরফে মিলন মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হবে। তার প্রস্ততি শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ট্রিনিটি চার্চ ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বন্ধন গড়তে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছে। বড়দিনে ঝাড়গ্রাম জেলার সকল সম্প্রদায়ের মানুষ এখানে আসেন। প্রতিবছরের মতো এবারও ধুমধাম করে বড়দিন পালন করা হবে। ঝাড়গ্রাম শহরের বাসিন্দা সুমিতা রেজিনা বিশ্বাস বলেন, বড়দিন উপলক্ষ্যে খ্রিস্টান পাড়ায় উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে। আমরা বাড়িতে ক্রিসমাস ট্রি, গোশালা তৈরি করি। নিজের হাতে সেগুলো তৈরি করছি। কেক বানানো চলছে। বড়দিনে বাড়িতে আত্মীয়স্বজন আসবে। আমরা ধর্মীয় ভাবে খ্রিস্টান, কিন্তু সাংস্কৃতিক দিক থেকে ভারতীয়। সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রতির বন্ধনে আমরা বিশ্বাস করি। শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পিটার সমরেল বেড়া বলেন, বড়দিন উপলক্ষ্যে চার্চে এবার বড় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)