রামপুরহাটে ধানের গাদায় অগ্নিসংযোগ রুখতে রাতে মাঠ পাহারায় পুলিশ
বর্তমান | ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, রামপুরহাট: প্রায় ২৫দিন ধরে রামপুরহাটের কুসুমদই গ্রামে রাতের অন্ধকারে চাষিদের কেটে রাখা ধানের গাদায় আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। এখনও পর্যন্ত ন’জন চাষির প্রায় ১৫বিঘা জমির ধান ছাই হয়েছে। ওই চাষিরা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। স্থানীয় বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ওই ঘটনায় পুলিশ সুপারের কাছে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত দাবি করেছিলেন। কিন্তু, এখনও দুষ্কৃতীরা তো ধরা পড়েইনি, অগ্নিসংযোগের ঘটনাও বন্ধ হয়নি। এতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে চাষিদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাতে কনকনে শীতে মাঠ পাহারা দিচ্ছেন পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়াররা।
১৬নভেম্বর থেকে কুসুমদই গ্রামে রাতের অন্ধকারে মাঠে কেটে রাখা ধানে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। ২৪নভেম্বর রাতে প্রায় ১২বিঘা জমির ধানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে আটজন চাষি বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েন। সেই সময় বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা এলাকায় এসে ওই চাষিদের গেরুয়া সমর্থক বলে দাবি করেন। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ তোলেন। যদিও আশিসবাবু বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা সবাই তৃণমূল কর্মী। এসপিকে ফোন করে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়েছি।
যদিও ঘটনার পর প্রায় ১৫দিন কেটে গেলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এরই মধ্যে শুক্রবার রাতে এক চাষির দু’বিঘা জমির কেটে রাখা ধানের গাদায় দুষ্কৃতীরা আগুন ধরিয়ে দেয়। বারবার অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ওই এলাকার চাষিদের দিশেহারা অবস্থা। তাঁরা সবাই পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ। আশিসবাবু বলেন, এর আগে এসপির কাছে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত চেয়েছিলাম। তাতে কাজ না হলে ডিআইজির সঙ্গে কথা বলব।
দুষ্কৃতী ধরতে মাঠ পাহারা দিতে শুরু করেছে পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়াররা। পুলিশের এক কর্তা বলেন, দু’দিন ধরে একটি স্পেশাল টিম রাতে টর্চ হাতে মাঠে মাঠে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশের মোবাইল ভ্যানও টহল দিচ্ছে। রাতে কাউকে অহেতুক ঘোরাফেরা করতে দেখলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। এলাকার চাষিরা জানান, মাঠ থেকে সমস্ত চাষির ধান বাড়ি না পৌঁছনো পর্যন্ত পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের পাহারা থাকাই ভালো।