• লাইন পেরিয়ে টিকিট কাউন্টারে গেলেই দিতে হয় ফাইন, ক্ষোভ
    বর্তমান | ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বহরমপুর: বহরমপুর কোর্ট স্টেশনে লাইন পেরিয়ে টিকিট কাউন্টারে যেতে ফাইন দিতে হচ্ছে রেলযাত্রীদের। বৃদ্ধ, বৃদ্ধা, মহিলা থেকে শুরু করে এমনকি, নাবালক, নাবালিকাদেরও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। যাত্রীদের জিআরপির হাতে চরম হেনস্তা হতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ। ফলে কোর্ট স্টেশনের পূর্ব প্রান্তে বিকল্প টিকিট কাউন্টারের দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, চুয়াপুর, বিবেকানন্দপল্লির দিক থেকে টিকিট কাউন্টারে যেতে প্রায় এক কিমি ঘুরতে হয়। স্টেশনের পূর্ব দিকে আর একটি কাউন্টার হলে হাজার, হাজার রেলযাত্রীর সুবিধা হত। তাঁদের আর হেনস্তা বা ফাইন দিতে হত না। যদিও এখনই স্টেশনের পূর্ব দিকে কোনও টিকিট কাউন্টারের আশ্বাস দিতে পারেনি রেল কর্তৃপক্ষ।

    লালগোলা-শিয়ালদহ শাখার উপর বহরমপুর কোর্ট স্টেশন। ১৩১/টি রেলগেট তুলে দিয়ে ওভারব্রিজ ও আন্ডারপাস হয়েছে। এর ফলে রেললাইনের পূর্ব দিক থেকে যাত্রীদের প্রায় এক কিলোমিটার ঘুরে স্টেশনে যেতে হয়। বহরমপুরের চুয়াপুর, ভাকুড়ি, হরিহরপাড়া, বেলডাঙা, ডোমকলের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা স্টেশনের পূর্ব দিক থেকে ওঠানামা করেন। তাতে যাত্রীদেরও সুবিধা হয়। ঘুরপথ এড়িয়ে যাত্রীরা লাইনের উপর দিয়েই স্টেশনে ঢোকেন। আর তাতেই অধিকাংশ সময় রেলযাত্রীদের টিসি বা জিআরপি-র সঙ্গে মোকাবিলা করতে হয়। ফাইন দিয়েই নিস্তার মেলে।

    বিবেকানন্দ এলাকার বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, আমি যেখানে বাস করি সেখান থেকে রেললাইন পেরোলেই টিকিট কাউন্টারে সহজেই পৌঁছনো যায়। এছাড়া হেঁটে গেলে ফ্লাইওভার বা আন্ডারপাস দিয়ে একবার ঘুরতে হয়। টোটোয় গেলে ১৫-২০ টাকা ভাড়া গুনতে হয়। স্বাভাবিকভাবেই লাইন পারাপার করেই স্টেশনে ঢুকছেন যাত্রীরা। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, এখন কেউ টিকিট না কেটে ট্রেনে চাপেন না। যাত্রীরা সুবিধার জন্য লাইন পারাপার করেন। কিন্তু টিকিট কাটতে গিয়ে কেন ফাইন দিতে হবে? কর্তৃপক্ষের কিন্তু এবিষয়ে ভাবা উচিত। এপাড়ে টিকিট কাউন্টার হলে আর সমস্যা হবে না।

    গজধরপাড়ার বাসিন্দা মরিয়ম বিবি রেজিনগর যাবেন বলে বিবেকানন্দ পল্লিতে টোটোয় নেমে লাইন পেরিয়ে স্টেশনে ঢুকছিলেন। কাউন্টারে যাওয়ার আগে ১ নম্বর প্লাটফর্মে টিকিট চেকার ধরেন তাঁকে। বহরমপুর থেকে শিয়ালদহের ভাড়ার সঙ্গে ফাইন দিয়ে ছাড়া পান মরিয়ম বিবি। তিনি বলেন, এত টাকা ফাইন দিতে হবে জানলে ঘুরেই আসতাম।  আবার ঠাকুরপাড়ার বাসিন্দা অমূল্য সরকারের কথায়, হাতে সময় কম ছিল। কাশিমবাজার থেকে ট্রেন ছাড়ছে এই ঘোষণা শুনেই লাইন পারাপার করতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু জিআরপি পাকড়াও করে হেনস্তা করে। কাকুতি-মিনতি করেই শেষমেশ ছাড় পেয়েছি। কাজেই সবাই একসুরে বিবেকানন্দ পল্লির দিকে টিকিট কাউন্টারের দাবি তুলছেন।  লাইন পেরিয়ে যাত্রীদের আসতে হচ্ছে কাউন্টারে। মঙ্গলবার তোলা নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)