সংবাদদাতা তেহট্ট: জলঙ্গি নদীতে ফের চায়না জাল দিয়ে মাছ ধরা চলছে। প্রশাসনের নজরদারির অভাবে বিভিন্ন জায়গায় চায়না জাল দিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে। এমনই অভিযোগ পরিবেশপ্রেমীদের। তাঁদের অভিযোগ বর্ষার পর জলঙ্গি নদীর জল কমতেই প্রবাহ পথে চায়না জাল পেতে মাছ ধরছে মৎস্যজীবীরা। নদী বাঁকের বেশির ভাগ অংশে মাছ ধরার জন্য এই চায়না জাল পাতা হচ্ছে। তেহট্ট -১ ও ২ ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে চায়না জাল। অভিযোগ, এর ফলে নদীর প্রবাহে বাধা পড়ছে। এতে জলের জীব বৈচিত্র ভারসাম্য হারাচ্ছে। জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণী মারা যাচ্ছে। এক কথায় পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। চায়না জাল দিয়ে নদীতে ধরা অবৈধ।
তেহট্ট মহকুমার প্রায় অর্ধেকের বেশি মানুষ কৃষিকাজে যুক্ত। তারা সবাই এই জলঙ্গি নদীর উপর নির্ভরশীল। সেই নদী বাঁচাতে অনেক দিন ধরে আন্দোলন করছেন পরিবেশকর্মীরা। অথচ এই দিকে কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের। বারবার চায়না জাল বা নদী নিয়ে সচেতনতা প্রচার করা হলেও মৎস্যজবীবীদের একাংশ সচেতন হচ্ছেন না। অবিলম্বে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশপ্রেমীরা।
সেভ জলঙ্গি সংগঠনের শঙ্খশুভ চক্রবর্তী ও জলঙ্গি নদী বাঁচাও কমিটির প্রলয় ভট্টাচার্য বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নদী বাঁচাতে আমরা আন্দোলন করছি। বিভিন্নভাবে মানুষকে সচেতন করছি। এমনকি নদীর স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশাসনের রিপোর্ট কার্ড জমা দিয়েছি। চায়না জাল ব্যবহার বা নদীতে নোংরা ফেলা নিয়ে বেশ কয়েকবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি। মনে হয় প্রশাসন নদী নিয়ে খুব একটা ভাবে না। এবিষয়ে তেহট্ট-১ ব্লকের এক মৎস্য আধিকারিক জানিয়েছেন আমরা অভিযান চালিয়ে জাল উদ্ধার করেছি। লাগাতর অভিযান চলছে।