জাতীয় সড়কে লরির সঙ্গে সংঘর্ষে বাইক আরোহীর মৃত্যু, জখম চালক
বর্তমান | ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা,বিষ্ণুপুর: শীতের জ্যাকেট কিনে বাড়ি ফেরার পথে সোমবার রাতে বিষ্ণুপুরের খড়িকাশুলিতে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে লরির সঙ্গে সংঘর্ষে বাইক আরোহী এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম তুফান মিদ্যা(২০)। তাঁর বাড়ি বিষ্ণুপুরের আস্থাশোল গ্রামে। ঘটনায় ওই বাইকের চালক বিমল হাঁসদা জখম হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করানো হয়েছে। ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষ্ণুপুরের বাঁকাদহ গ্রামপঞ্চায়েতের অন্তর্গত আস্থাশোল গ্রামের বাসিন্দা তুফান মিদ্যা এবং পার্শ্ববর্তী কুড়চিডাঙা গ্রামের বাসিন্দা বিমল হাঁসদা দুই বন্ধু মিলে একটি বাইকে করে শুক্রবার বিকালে বিষ্ণুপুর শহরে শীতের জ্যাকেট কিনতে যান। জ্যাকেট কিনে ৬০নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন। বাইকটি চালাচ্ছিলেন বিমল। বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত খড়িকাশুলি গ্রামের কাছে কোনও লরির সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে তাঁদের বাইক রাস্তার ধারে ছিটকে পড়ে। স্থানীয়রা খবর পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে দু’জনকে উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তুফানকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বিমলের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে রাতেই বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
মৃতের এক ভাইপো শিবু মিদ্যা বলেন, কাকা ভিনরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতেন। দু’সপ্তাহ আগে বাড়ি ফিরেছিলেন। পুরানো জ্যাকেটটি ছিঁড়ে গিয়েছিল। তাই শীতের জন্য নতুন জ্যাকেট কিনতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। আমাদের বাড়ি থেকে বিষ্ণুপুর শহরের দূরত্ব প্রায় ১৭কিলোমিটার। নিজের বাইক ছিল না। তাই তাঁর বন্ধুর সঙ্গে বাইকে করে বিষ্ণুপুর শহরে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি যে আর ফিরবেন না তা আমরা ভাবতে পারিনি।
মৃতের জেঠামশাই গোপাল মিদ্যা বলেন, ভাইপোর আর কয়েকদিন বাদেই নিজের কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। সেজন্য শীতের পোশাক কিনতে গিয়েছিল। কিন্তু রাতে পুলিশ ফোন করে দুর্ঘটনার কথা জানায়। বিষ্ণুপুর হাসপাতালে এসে দেখি ভাইপো আর নেই। তার বন্ধুও মারাত্মক জখম হয়েছে। তাকে বাঁকুড়ায় রেফার করা হয়েছে।