• হাসপাতাল চত্বরে ধূমপানের শাস্তি, আর্থিক জরিমানা, কান ধরে ওঠবস
    বর্তমান | ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: এবার ধূমপায়ী বিরুদ্ধে অভিযান চালাল স্বাস্থ্যদপ্তর ও পুলিশ। মঙ্গলবার আরামবাগ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে ধূমপান করার অভিযোগের স্পট ফাইন করা হয়। এমনকি, এক ব্যক্তিকে কান ধরে ওঠবসও করান আধিকারিকরা। 

    আরামবাগ মেডিকেলের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার মধুরিমা পালগুহ বলেন, হাসপাতালে প্রতিদিন বহু রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা আসেন। শিশু ও প্রবীণ মানুষের ভিড়ও থাকে। ধূমপানের ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির যেমন শারীরিক ক্ষতি হয়, একইসঙ্গে পরোক্ষভাবে অন্যদেরও ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। হাসপাতাল চত্বরে ধূমপান নিষিদ্ধ। হাসপাতালের কর্মী সহ অন্যান্যদেরও তা মানতে হয়। এদিন স্বাস্থ্যদপ্তর ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়েছে। 

    হুগলি জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মী তথা সমাজকর্মী শ্রাবন্তী পালসাহা বলেন, জরিমানা করে অর্থ সংগ্রহ করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। মানুষের মধ্যে সচেতনতা আনতেই মাঝেমাঝে অভিযান চালানো হয়। ন্যাশনাল টোবাকো কন্ট্রোল প্রোগ্রামের অধীনে হাসপাতাল চত্বর, স্কুল, কলেজ সহ বিভিন্ন জন বহুল স্থানে এমন অভিযান চলে। হাতেনাতে ধরা পড়লে ২০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হয়ে থাকে। এদিন আরামবাগ মেডিকেলে তা কার্যকর হয়েছে। কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়। এক ব্যক্তি জরিমানা দিতে অস্বীকার করেন। পাশাপাশি তিনি তর্কও জুড়ে দেন। সেই সময় পুলিশের পরামর্শেই তাঁকে কান ধরে ওঠবস করানো হয়েছে। 

    স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ১০ থেকে ১২ জন ব্যক্তিকে ধূমপান করার সময় হাতেনাতে পাকড়াও করেন স্বাস্থ্যদপ্তর ও পুলিশ কর্মীরা। তাঁদের থেকে ৭২০ টাকা জরিমানা আদায় হয়েছে। এক ব্যক্তি জরিমানা দেননি। তাঁকে কান ধরে ওঠবস করানো হয়। তা নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। আইন অনুযায়ী কোনও জনবহুল স্থানে ধূমপান করা অপরাধ। একইসঙ্গে স্কুল কলেজের পাশে নেশার সামগ্রী বিক্রি করা যায় না। জেলায় সেই সব নিয়ম মানা হচ্ছে কি না, তা যাচাই করতে স্বাস্থ্যদপ্তর সারপ্রাইজ ভিজিট করে। সচেতনতামূলক প্রচারও চালায়। স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকদের দাবি, এই ধরনের অভিযানের ফলে অনেকেই সচেতন হবেন। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)