উচ্চ মাধ্যমিকের চতুর্থ সেমিস্টারে মিলবে না লুজ শিট! বড় সিদ্ধান্ত সংসদের
প্রতিদিন | ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার: উচ্চ মাধ্যমিকের চতুর্থ সেমিস্টার পরীক্ষার (চূড়ান্ত পর্যায়) উত্তরপত্রে পরীক্ষার্থীরা যেখানে লেখা শেষ করবেন, সেখানে পরীক্ষক বা ইনভিজিলেটরের সই বাধ্যতামূলক করল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এর পাশাপাশি উচ্চমাধ্যমিকের চতুর্থ সেমেস্টারে পরীক্ষার্থীদের বাড়তি কোনও পাতা অর্থাৎ লুজ শিট দেওয়া হবে না বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংসদ। পরীক্ষার্থীরা সংসদের দেওয়া উত্তরপত্রের যে পাতায় লেখা শেষ করবেন, তার একেবারে নিচে পরীক্ষক বা ইনভিজিলেটর সই করবেন। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর প্রতিটি বিষয়ের খাতায় এই স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “এ বছর থেকে এই নতুন নিয়ম চালু হচ্ছে। যাকে বলা হয় ‘এন্ড অফ লাইন’। ইনভিজিলেটর-এর সই থাকা মানেই এরপর আর কোনও লেখা নেই। আইনি জটিলতার কারণেই এই পদক্ষেপ।”
সংসদের এক আধিকারিক জানান, উচ্চমাধ্যমিকের চতুর্থ সেমিস্টার ২ নম্বর বা ৩ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। খুব সামান্য প্রশ্ন থাকবে ৪ নম্বর বা ৫ নম্বরের। সেজন্য পর্যাপ্ত পাতা থাকবে সংসদের দেওয়া খাতায়। যাঁরা প্রশ্নপত্র করছেন, তাঁদের তেমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উত্তর লিখতে পরীক্ষার্থীদের কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
এ প্রসঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের ব্যাখ্যা, পরীক্ষায় মনোমতো নম্বর না পেয়ে পরীক্ষার্থীরা খাতা চ্যালেঞ্জ করলে বা তথ্য জানার অধিকার আইন অনুযায়ী আরটিআই হলে অনেক সময়ই সমস্যায় পড়তে হয় তাদের। অনেক পড়ুয়া দাবি করে, আরও বেশি উত্তর লিখেছিল সে। খাতা থেকে কোনও পাতা হারিয়ে গিয়েছে কি না, তা প্রমাণ করতে হিমশিম খেতে হয় সংসদকে। এই জটিলতা এড়াতেই এই নতুন পদক্ষেপ। পরীক্ষকদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করলে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর এনরোলমেন্টও বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চিরঞ্জীব বলেন, “অনেক সময় টুকলি বা মোবাইল-সহ ধরা পড়লে পরীক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে পরীক্ষার্থীরা। এই ধরনের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণেই আমরা কঠোর পদক্ষেপ করছি। ছ’টি বিষয়ের মধ্যে যে কোনও পরীক্ষায় এমন ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর সমস্ত পরীক্ষা সে বছরের জন্য বাতিল হয়ে যাবে।” কোনও পড়ুয়া একা বা সদলবল পরীক্ষা কেন্দ্রে ভাঙচুর করলে সরাসরি স্কুলকে জরিমানা করা হবে। জরিমানা ধার্য করার পাশাপাশি এনরোলমেন্ট বাতিল হতে পারে।