• এক টেবিলে মোদী-শাহ-রাহুল, ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী নিয়ে আলোচনা? জল্পনা
    এই সময় | ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
  • দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী— বুধবার বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। বৈঠকের সময় নির্ধারিত ছিল দুপুর ১টা। ঠিক ১.০৭ মিনিটে পিএমওর অফিসে ঢোকেন রাহুল। তিনি যখন বেরিয়ে আসেন, তখন ঘড়িতে বাজে ২.৩৫ মিনিট। দেশের ‘চিফ ইনফরমেশন কমিশনার’ পদে নিয়োগের জন্যেই আয়োজন করা হয়েছিল এই বৈঠকের। তবে সেই বৈঠক চলল প্রায় ৮৮ মিনিট! যা নিয়ে সংসদের অন্দরে শুরু বিস্তর জল্পনা।

    কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন বা সিআইসিতে বর্তমানে ৮টি শূন্যপদ রয়েছে। যার মধ্যে প্রধান তথ্য কমিশনারের পদও রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হলেন কমিশনার (CIC) নির্বাচন কমিটির সভাপতি, যার মধ্যে বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মনোনীত একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও অন্তর্ভুক্ত থাকেন। যারা চিফ ইনফরমেশন কমিশনার এবং অন্যান্য ইনফরমেশন কমিশনার নিয়োগের জন্য নাম নির্বাচন এবং সুপারিশ করেন। সেই বৈঠকেই এ দিন এক টেবিলে বসেছিলেন মোদী, শাহ, ও রাহুল।

    শূন্যপদে যাঁদের নিয়োগ করার সুপারিশ করা হয়েছে, প্রতিটি নাম নিয়েই আপত্তি তুলেছেন রাহুল। পূর্বে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বিরোধী দলের প্রতিনিধি হিসেবে এই বৈঠকে যোগ দিয়েও সুপারিশ করা নাম নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন। এ ক্ষেত্রেও অন্যথা হয়নি। বৈঠক থেকে বেরিয়ে সমস্ত নিয়োগের বিরুদ্ধে লিখিত ভাবে তাঁর আপত্তি জমা দিয়েছেন বলে জানান রাহুল। সেই আপত্তি জানাতে সময় ব্যয় হলো ৮৮ মিনিট? ফিসফাস শুরু হয়েছে তা নিয়েই।

    সিআইসি মূলত RTI আবেদনকারীদের দায়ের করা অভিযোগ এবং আপিল সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন এবং তথ্য প্রকাশ করেন। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত হীরালাল সামারিয়া ভারতের প্রধান তথ্য কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৩ সেপ্টেম্বর তিনি অবসর গ্রহণ করেন। এর পর থেকেই পদটি শূন্য রয়েছে। মাত্র দু’জন তথ্য কমিশনার— আনন্দী রামালিঙ্গম এবং বিনোদ কুমার তিওয়ারি সিআইসির কাজ পরিচালনা করছেন। সিআইসির ওয়েবসাইট অনুসারে, ৩০,৮৩৮টির বেশি মামলার এখনও বিচারাধীন রয়েছে।

  • Link to this news (এই সময়)