• রাঙাতি নদীতে ভেসে উঠল মরা বোয়াল-আড়-বোরলি, কী কারণে এমন ঘটনা?
    এই সময় | ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
  • তিস্তার পরে এ বার রাঙাতি নদীতে বিষ প্রয়োগে মাছের মড়কের অভিযোগ। ধূপগুড়ির ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। মাছ ধরার লোভে নদীতে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ উঠল ধূপগুড়ির বানারহাট এলাকার রাঙাতি নদীতে। মঙ্গলবার গভীর রাতে কয়েকজন অসাধু মাছ শিকারি নদীর জলে বিষ প্রয়োগ করেছে বলে দাবি স্থানীয়দের।

    বুধবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন, নদীর জলে ভেসে উঠেছে হাজার হাজার মৃত মাছ। সেই দৃশ্য দেখে এলাকার মানুষ নদীতে নেমে মৃত মাছ কুড়োতে শুরু করেন। মুহূর্তে নদীতে মরা মাছ ভেসে ওঠার খবর ছড়িয়ে পড়তেই তৈরি হয় চাঞ্চল্য। তালিকায় ছিল বোরলি, বোয়াল, আড়।

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাঙাতি নদীতে নানা প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। আর তাতেই নজর একদল অসাধু ব্যবসায়ীর। নদীর বাস্তুতন্ত্র নষ্ট হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন পরিবেশপ্রেমীরা। বিষ প্রয়োগের ফলে যেমন বড় মাছ মারা যাচ্ছে, একই সঙ্গে বহু চারা মাছও মারা যাচ্ছে।

    স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। না হলে অন্য নদীতেও একই ভাবে বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটতে পারে। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সরব হয়েছেন পরিবেশপ্রেমীরাও। তাঁদের দাবি, নদী রক্ষায় কড়া নজরদারি ও প্রশাসনের জরুরি পদক্ষেপ করা প্রয়োজন।

    শঙ্কর বড়াই নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার দাবি, ‘বুধবার সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি নদীতে প্রচুর মরা মাছ ভেসে উঠেছে। গ্রামবাসীরা নদীতে নেমে সেই মাছ ধরছেন। নদীতে বিষ দেওয়ার ফলেই মাছগুলি মারা গিয়েছে। নদীতে প্রশাসন, মৎস্য দপ্তর অথবা বনদপ্তরের কোনও নজরদারি নেই। তার জন্যই নদীতে বিষ দিয়ে মাছ মারা হচ্ছে।’

    পরিবেশপ্রেমী নফসর আলি বলেন, ‘যে ভাবে নদীতে বিষ দিয়ে মাছ শিকার চলছে তাতে নদীর বাস্তুতন্ত্র নষ্ট হবে। শুধু মাছ মারা যাচ্ছে না, জলজ প্রাণীরও মৃত্যু হচ্ছে। এই বিষয়গুলি দেখার ভার মৎস্যদপ্তরের। এলাকায় নজরদারি করার কথা বনদপ্তরের।’

    পরিবেশপ্রেমী নফসর আলি বলেন, ‘যে ভাবে নদীতে বিষ দিয়ে মাছ শিকার চলছে তাতে নদীর বাস্তুতন্ত্র নষ্ট হবে। শুধু মাছ মারা যাচ্ছে না, জলজ প্রাণীরও মৃত্যু হচ্ছে। এই বিষয়গুলি দেখা দরকার।’ প্রশাসনের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

  • Link to this news (এই সময়)