আজকাল ওয়েবডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে চলছে এসআইআর। প্রাথমিক পর্বের কাজ শেষ পর্যায়ে। তার মাঝেই সব রাজ্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের বড় নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের। সূত্রের তথ্য তেমনটাই। জানা গিয়েছে, বুধবার নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছে, খসড়া তালিকা প্রকাশের আগে বিএলও, বিএলএ বৈঠক করবেন। খতিয়ে দেখবেন মৃত, স্থানান্তরিত, নিখোঁজদের তালিকা। সেই তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হবে বুথে।
এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে, পশ্চিমবঙ্গে-
মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দপ্তর সূত্রের তথ্য, মৃত এবং ডুপ্লিকেট ভোটার ও শিফটিং-এর ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করবেন বিএলও, ইআরও, এইআরওরা৷ এই চেকিং-এর পর্ব চলবে আগামী ১৬ তারিখ খসড়া তালিকা প্রকাশ হওয়ার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বহু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় বাবা-মা এর নাম নেই, কিন্তু ঠাকুর দা-ঠাকুরমা'র নামের সঙ্গে ম্যাপিং করে এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করেছেন অনেকেই। অনেকক্ষেত্রে বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের বয়সের ফারাকও চোখে পড়ার মতো। বেশ কিছু ক্ষেত্রে, বানান সংক্রান্ত কারণে সমস্যা দেখা গিয়েছে। কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, ২০০২-এ হাতে লেখা হত তথ্য এবং বাংলায়। ২০২৫-এ লেখা হচ্ছে ইংরেজিতে এবং ডিজিটালাইজেশন হচ্ছে। সেই কারণে বিরাট ফারাক দেখা দিচ্ছে বানানের ক্ষেত্রে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সয়াহতায় এইসব সমস্যা সমাধান করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের নতুন ভারপ্রাপ্ত স্পেশাল রোল অবজার্ভার সুব্রত গুপ্ত বলেন, 'গ্রামগুলিতে বিএলও আধিকারিকদের সঙ্গে প্রতিবেশীদের সম্পর্ক খুবই নিবিড়। প্রত্যেকেই প্রত্যেকের তথ্য কম বেশি জানেন, সেই কারণে রুরাল এলাকা বা গ্রামগুলিতে এসআইআর প্রক্রিয়া অনেকটাই স্বচ্ছ নির্ভুল। যেখানে শহরে একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক যথেষ্টই কম এবং কেউ কারুর খোঁজ রাখেন না। সেই কারণে ভুল ভ্রান্তি পরিমাণ বেশি অর্থাৎ স্বচ্ছ তালিকার ক্ষেত্রে অনেক বেশি গরমিল ও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। সেই দিকেই বেশি করে আমরা নজর দেওয়ার চেষ্টা করছি। তবে কোনওভাবেই ন্যায্য ভোটারকে তালিকা থেকে যেন বাদ না যায় সেদিকে বেশি করে নজর থাকবে।'