• বৃহস্পতিবার নদিয়ার কৃষ্ণনগরে মমতার জনসভা
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • মঙ্গলবার কোচবিহার থেকে দলের নেতাদের একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। সাধারণ মানুষকে সাহায্যের জন্য কর্মীদের পাশে থাকতে বলেন। এসআইআর নিয়ে মমতার নির্দেশ,‘বিএলওরা যেমন কাজ করছেন করবে। দলও যেন ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করে। যুদ্ধ যখন বাঁধে, সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে হয়।‘এসআইআর প্রক্রিয়া অপরিকল্পিত বলেও রাসমেলা ময়দান থেকে সরব হন মমতা। কোনও ডকুমেন্টের দরকার হলে সরকার ও দল সাহায্য করবে বলেও জানান তিনি। সেই সঙ্গে বলেন,‘সরকার মে আই হেল্প ইউ ক্যাম্প করবে। প্রতি গ্রাম পঞ্চায়েতে সেই বুথ হবে। সেখান থেকে সব সাহায্য পাওয়া যাবে।‘

    কোচবিহার সীমান্তবর্তী জেলা। সেখানে রাজবংশী, মতুয়া এবং সংখ্যালঘুদের মধ্যে এসআইআর নিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ  তৈরি হয়েছে। আতঙ্ক দূর করতে মুখ্যমন্ত্রী বরাভয় দেন। কৃষ্ণনগরেও মতুয়াদের একটি বড় অংশ রয়েছে। তাদের মধ্যে নাগরিকত্ব হারানো নিয়ে ইতিমধ্যেই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তার উপর সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে সিএএ-তে যাঁরা আবেদন করেছেন তাঁদের নাগরিকত্ব না দেওয়া পর্যন্ত ভোটার তালিকায় নাম তোলা যাবে না। এরফলে নাগরিকত্ব হারানোর ভয় আরও বেড়ে গেছে। মতুয়া, নমঃশূদ্র ও উদ্বাস্তু সম্প্রদায়ের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে মাঠে নেমেছেন অল ইন্ডিয়া মতুয়া নমঃশূদ্র উদ্বাস্তু উন্নয়ন পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি রঞ্জিত সরকার।

    এই পরিস্থিতে বৃহস্পতিবার নদিয়ার কৃষ্ণনগরে যাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসআইআর যেদিন চালু হয় অর্থাৎ ৪ নভেম্বর কলকাতার বুকে সংবিধান নিয়ে মিছিল করেন মমতা ও অভিষেক। সেই মিছিল থেকেই এসআইআর নিয়ে অযথা ভয় পেতে সাধারণ মানুষকে বারণ করেছিলেন। এরপর ২৫ নভেম্বর মতুয়াগড় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় সভা ও মিছিল করেন। মতুয়াদের পাশে থাকার বার্তা দেন। একজন মতুয়া নাগরিকত্ব হারালে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তৃণমূলের পাল্টা মিছিল হিসেবে ৬ ডিসেম্বর মতুয়াগড় ঠাকুরনগরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য শান্তনু ঠাকরকে সঙ্গে নিয়ে মিছিল, মিটিং করেন। এর পর পরই নদিয়ার কৃষ্ণনগরে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে কৃষ্ণনগরে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। গোটা এলাকা নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। কোনও রকমের অশান্তি বা গন্ডগোল যাতে না হয় সেদিকে বিশেষ নজর রাখছে প্রশাসন ও পুলিশ। বুধবার মমতার যাতায়াতের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে কলেজ মাঠে নির্ধারিত হেলিপ্যাডে হেলিকপ্টার ট্রায়াল ল্যান্ডিং করানো হয়। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তারা উপস্থিত থেকে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করেন। এদিনের সভা যাতে নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয় সেই লক্ষ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)