ব্রেন টেস্টের মাধ্যমে ৪ বছর আগের খুনের কিনারা, ধৃত অধ্যাপক
বর্তমান | ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
চণ্ডীগড়: চার বছর পর খুনের মামলার কিনারা। দীপাবলির আলোর রোশানাইয়ের মধ্যে খুন হন ষাটোর্ধ্ব সীমা গোয়েল। কিন্তু কেউ ধরা পড়েনি। সীমার স্বামী বি বি গোয়েল পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তাঁকে সন্দেহের তালিকায় রাখলেও উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণের অভাবে কিছুই করতে পারছিল না পুলিশ। অবেশেষে রহস্যের যবনিকা পড়ল। সোমবার রাতে গোয়েলকে গ্রেফতার করল চণ্ডীগড় পুলিশ। তবে এজন্য যথেষ্ট কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে তদন্তকারীদের। ব্রেন ইলেকট্রিকেল অসিলেশন সিগনেচার (বিইওএস) পরীক্ষার পর গোয়েলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। চণ্ডীগড় পুলিশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও অপরাধীকে ‘ব্রেন-টেস্টের’ মাধ্যমে গ্রেফতার করা হল।
২০২১ সালের ৪ নভেম্বর। দীপাবলির রাতে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী আবাসনে খুন হন সীমা। পরের দিন সকালে ঘরের তালা ভেঙে হাত-পা বাধা অবস্থায় তাঁর নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা যায়, শ্বাসরোধ করে বৃদ্ধাকে খুন করা হয়েছে। ঘটনাটিকে ডাকাতিজনিত হত্যাকাণ্ড বলে চালানোর চেষ্টা করেন সীমার স্বামী। যদিও মহিলার ঘরে সেরকম কোনও প্রমাণ পাননি তদন্তকারীরা। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজেও আবাসনে কোনও বহিরাগতকে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি। তাহলে খুনি কে? বিগত চার বছর ধরে তারই উত্তর খুঁজে চলেছে পুলিশ। সন্দেহের তালিকায় উঠে আসেন গোয়েল। ফরেনসিক রিপোর্ট ও ডিএনএ পরীক্ষাতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ মেলেনি। অবশেষে গত জুলাই মাসে গোয়েলের ‘ব্রেন টেস্ট’-এর মাধ্যমে খুনের কিনারা করে পুলিশ। দম্পতির একমাত্র মেয়ে পারুল বলেন, তিনি ঘটনার রাতে বাড়িতে ছিলেন না। বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। খুনের আগের রাতে বাবা-মায়ের মধ্যে তীব্র ঝগড়া হয়েছিল। চণ্ডীগড়ের পুলিশ সুপার কানওয়ারদীপ কাউর বলেন, প্রথম থেকেই আমাদের সন্দেহের তালিকায় ছিলেন মহিলার স্বামী। বিইওএস টেস্টের মাধ্যমে তাঁর জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। অভিযুক্তকে তিনদিনের পুলিশ হেপাজতে পাঠিয়েছে স্থানীয় আদালত।