• ১০০ টাকা আয় করতে রেলের খরচ হচ্ছে ৯৮ টাকা ২২ পয়সা
    বর্তমান | ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • দিব্যেন্দু বিশ্বাস, নয়াদিল্লি: ফের প্রকাশ্যে চলে এল রেলের বেহাল আর্থিক পরিস্থিতির ছবি। ২০২২-২৩ আর্থিক বছর থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষ। এই দু’বছরের ব্যবধানে ১০০ টাকা আয় করতে রেলের খরচ বেড়ে গিয়েছে প্রায় ১০ পয়সা। বিগত তিনটি আর্থিক বছরের প্রতিটিতেই ১০০ টাকা আয়ের জন্য রেলের খরচের পরিমাণ দাঁ‌঩ড়িয়েছে ৯৮ টাকারও বেশি। বুধবার সংসদে একথা জানিয়েছে রেলমন্ত্রক। একইসঙ্গে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের দাবি, অপারেটিং রেশিও উন্নত করতে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। রেলের আর্থিক পরিস্থিতির যত খারাপ ছবিই সামনে আসুক না কেন, প্রধানত বাংলায় বিভিন্ন রেল প্রকল্পের বাস্তবায়ন থমকে থাকার কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারকেই দায়ী করে যাচ্ছে মন্ত্রক। অর্থাৎ, টাকার অভাব নয়। রাজ্য সরকার পর্যাপ্ত জমি দিতে পারছে না বলেই বাংলায় মেট্রো সহ একাধিক রেল প্রকল্পের কাজ সময়ে হচ্ছে না। এহেন তত্ত্বই প্রতিষ্ঠিত করতে তৎপর হয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। বুধবার সংসদে আবারও এবিষয়ে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে রেলমন্ত্রক। 

    এদিন লোকসভায় রেলের অপারেটিং রেশিও নিয়ে লিখিত প্রশ্ন করেন বিজেপি সাংসদ ডি পুরন্দেশ্বরী। তারই লিখিত জবাবে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব যে পরিসংখ্যান পেশ করেছেন, তা রীতিমতো চমকে ওঠার মতোই। রেলমন্ত্রীর খতিয়ান থেকে দেখা যাচ্ছে, ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে রেলের অপারেটিং রেশিও ছিল ৯৮.১০ শতাংশ। অর্থাৎ, ১০০ টাকা আয়ে রেলের খরচের পরিমাণ ছিল ৯৮ টাকা ১০ পয়সা। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে রেলের এই অপারেটিং রেশিও দাঁড়িয়েছে ৯৮.২২ শতাংশে। ফলে দু’বছরের ব্যবধানে রেলের ১০০ টাকা আয় করতে খরচের পরিমাণ বেড়েছে ১০ পয়সা। 

    আজিমগঞ্জ-নিউ ফারাক্কা শাখায় রোড-ওভার-ব্রিজ (আরওবি) তৈরি নিয়ে বাংলার কংগ্রেস সাংসদ ইশা খান চৌধুরীর এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে রেলমন্ত্রী বুধবার লোকসভায় জানিয়েছেন, রাজ্যে মোট ৩০২টি আরওবি/আরইউবি তৈরির প্রকল্প অনুমোদিত হয়ে আছে। এর মধ্যে ৯৯টি প্রকল্পের কাজই প্রধানত রাজ্য সরকারের ঢিলেমির জন্য থমকে রয়েছে। তার মধ্যে পর্যাপ্ত জমির অভাবে আটকে রয়েছে ১০টি। আজিমগঞ্জ-নিউ ফারাক্কা শাখায় আরওবি তৈরির প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রকল্প ইতিমধ্যেই অনুমোদিত হয়েছে। খরচের পরিমাণ কত হতে পারে, তার হিসেব নিকেশের কাজ শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, বুধবার লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক লিখিতভাবে জানতে চেয়েছিলেন, কল্যাণী এইমস পর্যন্ত কলকাতা মেট্রো প্রকল্পের কোনও সম্প্রসারণের পরিকল্পনা কেন্দ্রের আছে কি না। লিখিত জবাবে নির্দিষ্ট করে এপ্রশ্নের কোনও উত্তর রেলমন্ত্রী দেননি। পরিবর্তে আবারও টেনে এনেছেন বাংলার বিভিন্ন মেট্রো প্রকল্পে জমি জটের প্রসঙ্গ। -ফাইল চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)