• সাহস থাকলে বলুন দেশভাগের জন্য দায়ী রবীন্দ্রনাথ, চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের
    বর্তমান | ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সাহস থাকলে ভোটের আগে বাংলায় দাঁড়িয়ে বলুন, দেশভাগের জন্য দায়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ক্ষমতায় কুলোলে ‘টার্গেট’ করুন কবিগুরুকে। বুধবার রাজ্যসভায় বন্দেমাতরম গীতের ১৫০ বর্ষপূর্তির আলোচনায় অংশ নিয়ে বিজেপিকে এভাবেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিনের আলোচনায় অংশ নিয়ে তৃণমূল সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি বাংলায় কথা বলছি। সংসদের আলোচনায় বাংলা ভাষায় অংশ নিচ্ছি। আমাকেও কি বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দেবেন? ঋতব্রত বলেন, বাংলায় কোনও বিভাজনের রাজনীতি হয় না। যে বুলেটিনে বন্দেমাতরম স্লোগান বাদ দেওয়া হয়েছে, সেই গীত নিয়েই সংসদে আলোচনা করতে হচ্ছে সরকার পক্ষকে। অন্যদিকে, কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশের অভিযোগ, পণ্ডিত নেহরুকে অপমান করার জন্যই এই আলোচনা চলছে। ভয়ঙ্কর প্রজেক্ট চালাচ্ছে সরকার। শুধুমাত্র নেহরুকে অপমান করতে বলে লালকৃষ্ণ আদবানি মহম্মদ আলি জিন্নার প্রশংসা করেছিলেন। 

    বুধবার আলোচনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রসঙ্গ তোলে তৃণমূল। ঋতব্রত বলেন, নেহরু কিংবা নেতাজি নন। ১৯৩৭ সালে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি শুরুর তিনদিন আগে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বন্দেমাতরমের প্রথম দুই পংক্তি গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। ক্ষমতা থাকলে এই মানুষটিকে আক্রমণ করুন। তৃণমূল সাংসদ বলেন, রাজা পঞ্চম জর্জের স্তুতি করতে গিয়ে নাকি কবিগুরু জনগণমন লিখেছিলেন। এর থেকে বড় অপমান বোধহয় বিশ্বকবিকে আর কেউ করেননি। কবিগুরুর আমার সোনার বাংলা গাওয়ার অপরাধে অসমে রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ পর্যন্ত দায়ের হয়েছে। 

    পরে আলোচনায় অংশ নিয়ে বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, রাজা পঞ্চম জর্জের স্তুতি সংক্রান্ত ওই খবর সেইসময়ের দু’একটি সংবাদপত্রে বেরিয়েছিল। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেই বিবৃতি দিয়ে স্পষ্ট করে দেন, রাজা পঞ্চম জর্জের উদ্দেশে কোনও গান তিনি লেখেননি। বঙ্কিমবাবুর পরিবর্তে ‘বঙ্কিমদা’, আবার মাস্টারদার বদলে শুধুই ‘মাস্টার সূর্য সেন’ বলায় মোদিকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানিয়েছে তৃণমূল। 

    কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশের অভিযোগ, ‘বিজেপি কি মহাত্মা গান্ধী, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বিরুদ্ধেও তুষ্টিকরণ রাজনীতির অভিযোগ করছে? কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বনাম বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের আবহ তৈরি করা হচ্ছে। এটা কী হচ্ছে? বন্দেমাতরম গীতের আলোচনায় এদিন বাংলায় অনুপ্রবেশ ইস্যুও তোলেন বিজেপি সাংসদ শমীকবাবু। 
  • Link to this news (বর্তমান)