• ধর্ষণের চেষ্টা, শিশুকন্যার গোপনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে নৃশংস অত্যাচার গুজরাতে
    বর্তমান | ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • রাজকোট: ৭ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণের চেষ্টা। গোপনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেওয়া হল লোহার রড। গুজরাতের রাজকোটের আটকোট থানা এলাকার এই ঘটনা উসকে দিল দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের স্মৃতি। অভিযুক্ত ৩৫ বছরের রাম সিংকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আদতে মধ্যপ্রদেশের এই বাসিন্দা এক কিশোরী কন্যা সহ তিন সন্তানের বাবা। তার বিরুদ্ধে পকসো সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে। রাজকোটের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।  

    পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৪ ডিসেম্বর নির্যাতিতার বাবা-মা চাষের জমিতে কাজ করছিলেন। সেই সুযোগে ছোট্ট মেয়েটিকে অপহরণ করে কাছেই একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায় অভিযুক্ত। সেখানে শিশুটির উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়। পরে মেয়েটির গোপনাঙ্গে প্রায় একফুট লম্বা একটি লোহার রড ঢুকিয়ে দেয় অভিযুক্ত। তারপর সেখান থেকে পালিয়ে যায় সে। পরে রক্তাক্ত ও গুরুতর জখম অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে পরিবার। দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখান থেকে রাজকোটের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় মেয়েটিকে। 

    প্রাথমিকভাবে শিশুটিকে নির্যাতনের খবর পুলিশকে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই। সোমবার রাতে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার বাবা।  ঘটনার তদন্তে ১০টি টিম তৈরি করে পুলিশ। আশপাশের এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। ঘটনাস্থল সংলগ্ন এলাকায় অ্যাকটিভ মোবাইল নম্বরের তথ্যও সংগ্রহ করে পুলিশ। মোট ১৪০ জনকে রাখা হয়েছিল প্রাথমিক সন্দেহভাজনের তালিকায়। এসপি রাজকোট (গ্রামীণ) বিজয় সিং গুর্জর জানিয়েছেন, সন্দেহভাজনের তালিকা পরে কমিয়ে ১০ করা হয়। সেই দশজনের ছবি দেখানো হয়েছিল নির্যাতিতাকে। কাউন্সিলারের সহযোগিতায় অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে মেয়েটি। এসপি আরও জানিয়েছেন, পুলিশি জেরায় নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত। জানিয়েছে, ধর্ষণের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়াতেই শিশুটির গোপানাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দেয় সে। মধ্যপ্রদেশের আলিরাজপুর জেলার বাসিন্দা অভিযুক্ত গত ২ বছর ধরে রাজকোটে খেতমজুর হিসেবে কাজ করছিল। তার ১২ বছরের এক কন্যা ও দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)