সংবাদদাতা, কালিয়াগঞ্জ: কালিয়াগঞ্জ শহরে সোমবার গভীর রাতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের এটিএম লুটের চেষ্টার ঘটনায় তদন্তে নেমে একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম সঞ্জয় বর্মন। সে ইটাহারের শ্রীপুরের বাসিন্দা। তবে দিল্লিতে গাড়িচালকের কাজ করে। ইটাহারে বাড়ি থেকে সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জেরা করে ভিনরাজ্যের দুষ্কৃতীদের যোগ মিলেছে বলে কালিয়াগঞ্জ থানা সূত্রে খবর। বুধবার দুপুরে ধৃতকে রায়গঞ্জ জেলা আদালতে তোলে পুলিশ। বুধবার রায়গঞ্জ জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী নীলাদ্রি সরকার বলেন, ধৃতের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, দুষ্কৃতী দলটির বেশিরভাগ সদস্যই দিল্লি ও বিহারের বাসিন্দা। দিল্লিতে থাকার সুবাদে দুষ্কৃতী দলটির সঙ্গে সঞ্জয়ের পরিচয় হয়। সম্প্রতি সে দিল্লি থেকে ইটাহারে ফিরে আসে। সঞ্জয়কে নিয়েই কালিয়াগঞ্জে এটিএম লুটের চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। যদিও সিভিক ভলান্টিয়ারদের তত্পরতায় এটিএম লুটের চেষ্টা ভেস্তে যায়। সিভিকদের দেখে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সঞ্জয়ের মাধ্যমে এলাকায় একাধিক অপরাধমূলক কাজ করার পরিকল্পনা ছিল ছয় দুষ্কৃতীর। আপাতত সঞ্জয় পুলিশের জালে ধরা পড়লেও বাকি অভিযুক্তরা ফেরার।
কালিয়াগঞ্জ থানার আইসি দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে। ইটাহার থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় বাকি দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
সোমবার রাতে কালিয়াগঞ্জ শহরের শিমুলতলায় সিসি ক্যামেরায় কালি লাগিয়ে এটিএম লুটের চেষ্টা করে একদল দুষ্কৃতী। সিভিক ভলান্টিয়ারের নজরে আসতেই সাহেবঘাটার রাস্তা দিয়ে ছোটো গাড়ি করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এটিএম ও তার সংলগ্ন এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান, বিহার কিংবা ভিনরাজ্যে পালিয়ে যেতে পারে দুষ্কৃতীরা।
সূত্রের খবর, দিল্লি ও বিহারের একদল দুষ্কৃতী বহুদিন ধরে জেলায় অপরাধমূলক কাজে যুক্ত। এর আগেও কালিয়াগঞ্জ ব্লকজুড়ে চুরি ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটেছে। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে আতঙ্কের আবহ। কালিয়াগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি প্রকাশ কুণ্ডু বলেন, শহরে সিসি ক্যামেরায় কালি ছিটিয়ে এটিএম লুটের চেষ্টার ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। পুলিশকে আরও তৎপর হতে হবে। নজরদারি বাড়ানো দরকার।