পাড়ায় সমাধান প্রকল্পে সিউড়িতে ৮ কোটি ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রাজ্যের
বর্তমান | ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান কর্মসূচিতে সিউড়ি পুরসভার ৮২টি বুথের জন্য ৮ কোটি ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করল রাজ্য। এই টাকায় সিউড়ি শহরে মোট ৩৮২টি প্রকল্পের কাজ হবে। আলো, রাস্তা, নিকাশি নালা, শৌচাগার থেকে শুরু করে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কর্মযজ্ঞ শুরু হতে চলেছে শহরজুড়ে।
সিউড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান শিবিরে যে সমস্ত প্রকল্পের জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন বাসিন্দারা, তার তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। পুরসভার ৮২টি বুথ মিলিয়ে মোট ৩৮২টি প্রকল্পের কাজ হবে। পুরসভার ইতিহাসে সম্ভবত এই প্রথম একসঙ্গে এতগুলি প্রকল্পের কাজ হতে চলেছে। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অশেষ ধন্যবাদ। পুরসভা সূত্রের খবর, আগামী শুক্রবার থেকেই শুরু হয়ে যাবে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ। সিংহভাগ কাজই যাতে নতুন বছরের আগে সম্পন্ন হয়ে যায়, তার জন্য সবরকম চেষ্টা করছেন চেয়ারম্যান। ইতিমধ্যেই পুরসভার আধিকারিক থেকে ঠিকাদার সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন তিনি। প্রত্যেককে একটাই নির্দেশ, কাজের মান নিয়ে যেন কোনও প্রশ্ন না ওঠে।
তবে, কাজের মান দেখার দায়িত্ব বাসিন্দাদের উপরেই ছেড়েছেন চেয়ারম্যান উজ্জ্বল। শহরবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা নিজেরা এইসব কাজের প্রস্তাব দিয়েছেন। তাই কাজ ঠিকমতো হচ্ছে কি না, তা দেখার দায়িত্ব আপনাদেরও। কেউ যেন বলতে না পারে, ঠিক মতো কাজ হয়নি। পয়সা চুরি করে নিল। চেয়ারম্যানের দাবি, কোনও কাজের মান নিয়ে অভিযোগ থাকলে আমার ফোন নম্বর তো আছেই, পুরসভাতে এসেও দেখা করে অভিযোগ জানাতে পারেন। সেসব অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেইসঙ্গে তিনি জানান, সিউড়ি শহরে বিভিন্ন স্কুল কলেজ, আশ্রমগুলিতে টয়লেটের ডিপিআর করে পাঠিয়েছিলাম, সেসব আবেদনও মঞ্জুর হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২ আগস্ট থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয় ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি।
উদ্বোধনের পর বিপুল সারা পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, এটা একটা অনন্য স্কিম। সারা দেশে এই রকম উদ্যোগ এই প্রথম। এই প্রকল্পে মানুষ নিজেদের বুথ এলাকার সমস্যাগুলি নিজেরাই চিহ্নিত করবেন, অগ্রাধিকার দিয়ে তালিকা তৈরি করবেন আর আমাদের সরকার সেই তালিকা মেনে কাজের রূপায়ণ করবে। যেমন কথা, তেমন কাজ। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের বরাদ্দ টাকা পাঠাতে শুরু করেছে রাজ্য। সেই মতো কাজও শুরু হতে চলেছে। সিউড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান বলছেন, হাজার কেন্দ্রীয় বঞ্চনা সত্ত্বেও উন্নয়ন খাতে বিপুল অর্থ প্রদান মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারাই সম্ভব।