• একটি লঞ্চেই গাদিয়াড়া থেকে নুরপুর ও গেঁওখালি পরিষেবা
    বর্তমান | ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: নদীপথে বিপর্যয়। মঙ্গল ও বুধবার মাত্র একটি লঞ্চ দিয়েই গাদিয়াড়া-গেঁওখালি এবং গাদিয়াড়া-নুরপুর রুটে পরিষেবা দিয়েছে হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতি। ফলে দিশাহারা অবস্থা যাত্রী ও পর্যটকদের। হুগলি নদী ও রূপনারায়ণের সঙ্গমস্থলে তিন জেলার তিন প্রান্তে রয়েছে তিনটি পর্যটন কেন্দ্র। হাওড়ার গাদিয়াড়া থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের গেঁওখালি এবং গাদিয়াড়া থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নুরপুর রুটে প্রতিদিন যথাক্রমে ১৪টি ও ১৩টি ট্রিপ করে সমবায়ের লঞ্চ। তার বদলে এই দু’দিন মাত্র একটি লঞ্চ দিয়ে পরিষেবা জারি রাখায় নাকাল হয়েছেন তিন পাড়ের মানুষ। হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির তরফে জানানো হয়েছে, আজ, বৃহস্পতিবার থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক হবে। 

    শীত চলে আসায় পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে। তার উপর রয়েছে সাধারণ যাত্রীদের চাপ। এই দু’দিন লঞ্চ অনিয়মিত চলাচল করায় সমস্যার মধ্যে পড়েন সাধারণ যাত্রী ও পর্যটকরা। যে লঞ্চ যাত্রী নিয়ে গাদিয়াড়া থেকে গেঁওখালি গিয়েছে, সেটি ফিরে আসার পর ওই লঞ্চকেই পাঠানো হয়েছে নুরপুরে। আবার নুরপুর থেকে ফিরে গিয়েছে গেঁওখালি। এভাবে পরিষেবা দেওয়ায় লঞ্চঘাটগুলিতে সকাল থেকেই উপচে পড়েছে ভিড়। একবার লঞ্চ মিস করলেই বসে থাকতে হয়েছে দু’-আড়াই ঘণ্টা। ফলে কাজকর্ম শিকেয় উঠেছে তাঁদের।

    এদিন সকালে গাদিয়াড়া লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা গেল, লঞ্চে ওঠার জন্য হুড়োহুড়ি ফেলে দিয়েছেন যাত্রীরা। নুরপুর থেকে আসা অবিনাশ মণ্ডল বলেন, গেঁওখালিতে আত্মীয়ের বাড়িতে যাব। আমাদের রুটে লঞ্চ বন্ধ। তাই গাদিয়াড়া হয়ে ঘুরপথে যেতে হবে। মাত্র একটি লঞ্চ চলায় মহা সমস্যায় পড়েছি। জানি না কখন পৌঁছোবো, আর কখন ফিরব। গাদিয়াড়া থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে ব্যবসার কাজে যাচ্ছিলেন অলোক দাস। তাঁর কথায়, মঙ্গলবার থেকেই এই সমস্যা হচ্ছে। ওরা তো বলছে, বৃহস্পতিবার থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক হবে। জানি না কী হবে! অন্যদিকে হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির গাদিয়াড়া ঘাটের ইনচার্জ অশোক পাল এ প্রসঙ্গে বলেন, মঙ্গলবার ও বুধবার লঞ্চ সার্ভে থাকার কারণে মাত্র একটি লঞ্চ পর্যায়ক্রমে দু’টি রুটে চলাচল করছে। আমরা আগেই নোটিশ দিয়ে একথা জানিয়েছিলাম। এদিন সারাদিনে দু’টি রুট মিলিয়ে ন’টি ট্রিপ হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)