বনগাঁয় পুরসভায় নতুন চেয়ারম্যান কে? চর্চায় চার কাউন্সিলারের নাম
বর্তমান | ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: ‘গোপাল শেঠ সরল। এবার চেয়ারম্যান কে হবেন? অনেকেই দৌড়ে আছে শুনছি!’ বুধবার বিকেলে বনগাঁর বাটার মোড়ে চায়ের দোকানে বসে এই কথাটায় বলতে শোনা যাচ্ছিল অনেককে। তাঁদের মধ্যে একদল মহিলা চেয়ারম্যানের পক্ষে। শুধু চেয়ারম্যান নয়, ভাইস চেয়ারম্যান কে হবেন তা নিয়েও চলছে বিস্তর আলোচনা। এদিন দুপুরের পর থেকেই বনগাঁ শহরজুড়ে একটাই আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে— দুই পদে বসবেন কারা? তবে, চেয়ারম্যান পদের চর্চায় রয়েছে চারজনের নাম। আর ভাইস চেয়ারম্যন পদে কে আসবেন তা নিয়েও আলোচনা হচ্ছে।
গত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে বনগাঁ পুরসভায় বিপর্যয় হয়েছে তৃণমূলের। সার্বিক দিক বিবেচনা করে বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেয় দল। সেই মতো বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস নির্দেশ গোপালকে জানান। কিন্তু গোপালবাবু তা করেননি। ভাইস চেয়ারম্যানকে সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তিনি নিজেই ছুটিতে চলে যান। এই আবহে দল কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে। মঙ্গলবার গোপালপন্থী কাউন্সিলারদের নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেখানে গোপালকে পদত্যাগ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপর বুধবার সকালে পদত্যাগ করেন তিনি। উচ্ছ্বাসে মাততে দেখা যায় গোপাল বিরোধী হিসেবে পরিচিত অন্যান্য কাউন্সিলার ও কর্মী সমর্থকদের।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য দৌড়ে অনেকে রয়েছেন। প্রথমে সারিতে আছেন তিনজন। চেয়ারম্যান হতে চাইছেন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দিলীপ মজুমদার। তাঁর হয়ে তদ্বির করছে দলের একটি বড়ো অংশ। অন্যদিকে, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার দলের বর্ষীয়ান নেত্রী জ্যোৎস্না আঢ্যকে চেয়ারম্যান করতে চাইছেন কেউ কেউ। তাছাড়া, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার কৃষ্ণা রায় চেয়ারম্যানের দৌড়ে আছেন। আলোচনায় আছেন বর্ষীয়ান নেতা নারায়ণ ঘোষও। তবে, শেষ হাসি কে হাসবেন তা সময়ই বলবে। এই কাউন্সিলারের বাইরেও নতুন কোনও মুখে চেয়ারম্যান করা হতে পারে বলেও দলের অন্দরে কানপাতালে শোনা যাচ্ছে। এনিয়ে বনগাঁ সংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, সবটাই দলের সিদ্ধান্ত। কোনও সুপারিশের বিষয় নেই। দল যাকে চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান করবে সেটি দলই দেখবে।