• রবীন্দ্রনগরে ‘প্রতিবাদী’ বৃদ্ধকে মারধর, এক দশক পর ৯ দোষীকে ৭ বছরের কারাদণ্ড
    বর্তমান | ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মেয়ের শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন বৃদ্ধ বাবা। বাড়ির সামনে ডাঁই করে রাখা ছিল রাবিশ। তা নিয়ে প্রতিবাদ করে ছিলেন। তাতেই চড়াও হয়ে বৃদ্ধকে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর জখম করা হয়। ঘটনার দশ বছর পর স্থানীয় এক মহিলা সহ নয় ব্যক্তিকে সাতবছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিল আদালত। বুধবার আলিপুরের প্রথম ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক অভ্রনীল নিয়োগী ওই আদেশ দেন। বিচারক এই সাজার সঙ্গে প্রত্যককে দশ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে তিনমাসের হাজতবাসের নির্দেশ দেন। মামলার বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, ‘জখম বৃদ্ধ এখনও শয্যাশায়ী। তাঁর বয়স প্রায় ৭০ বছর। দেরিতে হলেও অপরাধীরা সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় নিগৃহীত পরিবারটি কিছুটা স্বস্তি পেল। অপরাধ করলে যে পার পাওয়া যায় না, কোর্টের এই রায়ে তা আরও একবার প্রমাণিত হল।’  

    আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালের ২৯ জুন ঘটনাটি ঘটে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার রবীন্দ্রনগর থানা এলাকার তালবাগান গ্রামে। বৃদ্ধকে লাঠি, হকি স্টিক প্রভৃতি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। চড়াও হয় বৃদ্ধর মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের উপরও। গুরুতর জখম বৃদ্ধকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বৃদ্ধর ভাইপো রবীন্দ্রনগর থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন। সেই মামলায় গ্রেফতারি এড়াতে অভিযুক্তরা আগাম জামিন নেয়। পুলিশ তদন্ত শেষ করে চার্জশিট দেয়। মামলায় সাক্ষ্য দেন ১৫ জন। তারমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ছিলেন পাঁচ চিকিৎসক। অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে আসা হয়েছিল বৃদ্ধকে কোর্টে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য। তিনি অভিযুক্তদের এজলাসে শনাক্তও করেন। দীর্ঘ শুনানির শেষে বিচারক ৯ অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে এদিন তাদের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করেন।                                                                                                              
  • Link to this news (বর্তমান)