• প্রাথমিকের স্পোর্টস পিছিয়ে দেওয়ার দাবি, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বচসা
    এই সময় | ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • এই সময়: প্রাথমিক স্কুলে কর্মরত হাজার হাজার টিচারকে ভোটার তালিকায় ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’ (সার)–এর কাজে নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন। এ দিকে রাজ্যের ৪৯ হাজার প্রাথমিক স্কুলে থার্ড সামেটিভ পরীক্ষা চলছে। এর মধ্যে ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রাথমিকে স্পোর্টসের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নবগঠিত কমিটি–র দাবি, পর্ষদ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে একতরফা ভাবে।

    স্পোর্টসের দিন পিছোনোর দাবিতে বুধবার পর্ষদ অফিসে যান সমিতির একদল সদস্য। অভিযোগ, আলোচনার সূত্রে বোর্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁদের তর্কাতর্কি, বচসা বেধে যায়। সমিতির কমপক্ষে ১৫-১৬ জন প্রতিনিধি পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের ঘরে ঢুকে দরজা আটকে দেন। টেবিল চাপড়ে নানা ইস্যুতে জবাব চান। সেই সময়ে অন্য একটি দরজা দিয়ে পর্ষদের অন্য আধিকারিক ও কর্মীরা ঘরে ঢুকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। তখন আবার শিক্ষক সংগঠনের সদস্যদের হাত ধরে টানাটানি করা হয় বলে পাল্টা অভিযোগ।

    গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে মন্তব্য করতে চাননি গৌতম। আর বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি স্বাতী বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা পাঁচ–সাতজন জেলা সভাপতি এ দিন পর্ষদ অফিসে গিয়েছিলাম। প্রেসিডেন্টের ঘরে বৈঠকে জানাই, স্পোর্টসের আয়োজন করতে ৪০ দিন সময় লাগে। এ বার হাতে সময়ই নেই। তা হলে আয়োজন কী ভাবে সম্ভব! শিক্ষক সংগঠনগুলির সঙ্গে আগাম আলোচনা করে প্রতিযোগিতার আবেদনও জানাই। কিন্তু উনি এ কথা শুনতে চাইছিলেন না।’ স্বাতী জানান, এ বছর ফেব্রুয়ারিতে স্পোর্টস হয়েছে। ফের স্পোর্টসের প্রয়োজন কী!

    যদিও বৈঠকেই উপস্থিত অন্য এক জেলা সভাপতির কথায়, ‘আমরা ১০–১২ জন গিয়েছিলাম। ১৫ ডিসেম্বর স্পোর্টস শুরু হলেও এখনও কেন সে জন্য কো–অর্ডিনেটরদের নিয়োগ করা হয়নি, তা জানতে চাওয়ায় বোর্ড প্রেসিডেন্ট রেগে গিয়ে উল্টোপাল্টা কথা বলেন। আমাদের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তাই কিছু কথা কাটাকাটি, বিতর্কের জেরে সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হলেও পরে মিটে যায়।’

    শিক্ষক সংগঠনের বক্তব্য, বেশিরভাগ টিচারই ‘সার’ এবং পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত। তা ছাড়া প্রতি বছর স্পোর্টসের কাজ তদারকিতে জেলায় জেলায় কো–অর্ডিনেটর নিয়োগ করা হয়। এ বার এখনও পর্যন্ত তা হয়নি। সূত্রের খবর, তৃণমূল শিক্ষক সমিতির সদস্যদেরই কো–অর্ডিনেটর হিসেবে নিয়োগের দাবি তোলা হলেও ঘোরতর আপত্তি জানান গৌতম। যদিও সংগঠন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

  • Link to this news (এই সময়)