কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী ওয়াকফ সম্পত্তির তথ্য ‘উমীদ’ পোর্টালে ‘সময় মতো নিবন্ধন না-করা’র অভিযোগ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও এই বিষয়ে সরব হওয়া নিয়ে শুভেন্দুকেও পাল্টা নিশানা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
মুর্শিদাবাদের ওয়াকফ সম্পত্তির তিন জন তত্ত্বাবধায়ককে সঙ্গে নিয়ে বুধবার মুরলীধর সেন লেনে বিজেপির দফতর থেকে তৃণমূলকে নিশানা করেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেছেন, “পুরো প্রক্রিয়াটা মে মাস থেকে শুরু হয়েছে। অক্টোবর থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের চিঠি এসেছে। কিন্তু রাজ্য সরকার পদক্ষেপ করেনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘুমোচ্ছিলেন। হঠাৎ জেলাশাসকদের কাছে তথ্য তোলার জন্য নির্দেশ গেল। ফলে ৬ ডিসেম্বরের সময়সীমার মধ্যে বহু সম্পত্তির তথ্যই আপলোড করা যায়নি।” বিরোধী নেতার সংযোজন, “এর ফলে যিনি (মমতা) বেশির ভাগ মুসলিম ভোট পান, তিনিই নথিবদ্ধ না-হওয়া ৫৪ হাজার ওয়াকফ সম্পত্তিগুলিকে কার্যত অননুমোদিত করে দিলেন। সেগুলিকে আইনি লড়াইয়ের সম্মুখীন হতে হবে।” গোটা দেশ এই প্রক্রিয়ায় সময় মতো পদক্ষেপ করলেও রাজ্য সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তা করেনি বলে শুভেন্দুর অভিযোগ। তাঁর আরও অভিযোগ, “ওয়াকফ আইন মানব না বলেছিলেন মমতা। অথচ কেন্দ্রের চারটি বৈঠকের যে দু’টিতে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি গিয়েছিলেন, সেখানে এই আইন নিয়ে কোনও আপত্তির কথা বলা হয়নি।”
যদিও শুভেন্দুর ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে সরব হওয়ার বিষয়টিকে ‘কুমিরের কান্না’ বলে উল্লেখ করেছে তৃণমূল। দলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, “সংসদের ভিতরে আপত্তি জানানো হয়েছিল। সংসদীয় কমিটির বৈঠকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আক্রান্ত হলেন। শুভেন্দু জেনেশুনেই অসত্য বলছেন।’’ তৃণমূলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তীরও বক্তব্য, “বিরোধী নেতা ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে চিন্তিত শুনলেই মনে হয়, বিড়াল মাছ পাহারা দিতে চাইছে! আমরা বরাবরই এই ওয়াকফ আইনের বিরোধী। রাজ্য সরকার আইনি লড়াই চালাবে।” ওয়াকফ-প্রশ্নে আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতায় মিছিল করার কথা কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য অধীর চৌধুরীর। পরে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গেও দেখা করে দাবি জানানোর কথা তাঁর।