তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের প্রশ্নে ‘সুবিধা হল না’ বলে তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়কে জানালেন শিল্পপতি গৌতম আদানি। আজ সন্ধ্যায় এনসিপি-র প্রতিষ্ঠাতা শরদ পওয়ারের বাসভবনে তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে হওয়া ভোজসভায় আমন্ত্রিত ছিলেন সৌগত। সেখানে ছিলেন আদানি-সহ আরও শিল্পপতি, বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতারা। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, ভোজসভায় পাশাপাশি, বসেছিলেন আদানি এবং সৌগত। পরে সৌগতকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, সেখানেই তাজপুর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ প্রকল্পে আদানির অংশ নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন করেন তিনি। জবাবে আদানি তাঁকে জানান, বিষয়টি সুবিধার হয়নি। ‘ইতিবাচক’ নয় পরিস্থিতি।
প্রসঙ্গত চলতি মাসের গোড়ায় তাজপুর বন্দরের জন্য দ্বিতীয় বার দরপত্র আহ্বান করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বলা হয়েছে, ২০২৬-এর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দরপত্র জমা দেওয়া যাবে। দরপত্র খোলা হবে ৩ মার্চ। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে আদানি গোষ্ঠী এই বন্দর নির্মাণের বরাত পায়। পরের বছর তাদের সম্মতিপত্র দেয় রাজ্য। কিন্তু তার পরেই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ ঘিরে প্রশ্ন ওঠে। ২০২৩ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ফের নতুন দরপত্র চাওয়া হবে। ওই বন্দর নির্মাণের জন্য কেন্দ্রের পক্ষে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও রাজ্যের একটি যৌথ উদ্যোগ (এসপিভি) তৈরি হয়েছিল। অংশীদারি সেই ৭৪% ও ২৬%। সেই এসপিভি এখন আর নেই। দ্বিতীয় বার দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু বন্দর সম্মেলনে এ ব্যাপারে আলোচনা করেনি কোনও পক্ষ। সব মিলিয়ে ওই বন্দরের ভবিষ্যৎ এখনও স্পষ্ট নয়।
আজ পওয়ারের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাঁরই দল ভেঙে মহারাষ্ট্রে দ্বিতীয় দল তৈরি করা তাঁর ভাইপো অজিত পওয়ার এবং প্রফুল্ল পটেল। প্রসঙ্গত অজিতের পুত্র জয়ের বিবাহ আসন্ন। সেই নিয়েও আলোচনা হয়, দু জন দুই দলের নেতৃত্ব দেওয়া কাকা ও ভাইপোতে। আজ পওয়ারের বাসভবনে উপস্থিত ছিলেন গুলাম নবি আজাদ, পি চিদম্বরম, জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী, তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী, কংগ্রেসের নেতারা এবং প্রত্যেকেই আদানির সঙ্গে কথা বলেছেন। রাতে আসেন রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তাঁদের আদানির কাছাকাছি দেখা যায়নি। প্রসঙ্গত, রাহুল গত কয়েক বছর ধরেই মোদী সরকারকে আক্রমণ করছেন আদানি, অম্বানীকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে।