চলতি এসআইআর পর্বে পশ্চিম মেদিনীপুরে চিহ্নিত ম্যাপহীন ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার! এর মধ্যে শুধু খড়্গপুরেই (সদর) সংখ্যাটা প্রায় ২০ হাজার! কমিশনে সূত্রো এই তথ্য মিলেছে। এমন ভোটারদের নিশ্চিত ভাবে শুনানিতে ডাকা হবে।
এমন ম্যাপহীন ভোটারেরা পূরণ করা এনুমারেশন ফর্মে উল্লেখ করেননি যে, তাঁদের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় ছিল। ফর্মে এ-ও উল্লেখ করেননি যে, তাঁদের বাবা- মা কিংবা দাদু-ঠাকুমার নাম ২০০২ সালের তালিকায় ছিল। শুধু ২০২৫ সালের ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম রয়েছে, এটা উল্লেখ করেই ফর্ম পূরণ সেরেছেন।
এসআইআরের বর্ধিত সময়সীমা শেষ হচ্ছে আজ, বৃহস্পতিবারই। অর্থাৎ, বিএলওদের কাছে আজ, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সংশোধনের সুযোগ রয়েছে। আগামিকাল, শুক্রবার থেকে আর সে সুযোগ থাকছে না। সময়সীমা বাড়ানোর ক্ষেত্রে কমিশন স্পষ্ট করেছিল, এই সময়কে কাজে লাগিয়ে প্রকাশিত হতে চলা খসড়া ভোটার তালিকা আরও নির্ভুল করার চেষ্টা করতে হবে। বিএলওদের আগেই জানানো হয়েছিল যে, অ্যাপে ঠিকঠাক নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে কি না, দেখতে হবে। কোথাও ভুল হয়ে থাকলে, দ্রুত সংশোধন করতে হবে। জেলার এক নির্বাচন-আধিকারিক মানছেন, ‘‘রোল ব্যাক করে সংশোধনের সুযোগ রয়েছে। বিএলওদের কিছু দিক ফের খতিয়ে দেখার কথা জানানো হয়েছে। কোথাও প্রয়োজন থাকলে, সেই সংশোধন বৃহস্পতিবারের মধ্যেই করতে হবে।’’ সূত্রের খবর, একাংশ বিএলও কিছু ক্ষেত্রে সংশোধন করেওছেন।
পশ্চিম মেদিনীপুরে ভোটার রয়েছে ৪০,১৫,৮৯৭। গত সোমবার দুপুর পর্যন্ত এনুমারেশন ফর্ম বিলি হয়েছিল ৪০,১৫,৮৩০। অর্থাৎ, ফর্ম বিলি কার্যত সম্পূর্ণ। পূরণ হয়ে আসার পর ৩৮,১০,০৪৪টি ফর্ম ডিজিটাইজ়ডও হয়ে গিয়েছিল ওই সময়ের মধ্যে। সূত্রের খবর, ডিজিটাইজ়েশনের সময়ে বিএলওকে ম্যাপিং করতে হয়েছে। কেমন? তিনটি ক্ষেত্রের মধ্যে কোনও একটি ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে হয়েছে। সেটা হতে পারে ‘সেল্ফ- ম্যাপিং’ অথবা ‘প্রোজেনি- ম্যাপিং’। দুইয়ের কোনওটা না হলে হতে পারে ‘নো-ম্যাপিং’। ‘সেল্ফ ম্যাপিং’ অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট ভোটারের নিজের নামই ২০০২ সালের তালিকায় রয়েছে। ‘প্রোজেনি- ম্যাপিং’ অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট ভোটারের বাবা- মা কিংবা দাদু-ঠাকুমার নাম ২০০২ সালের তালিকায় রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে ‘নো- ম্যাপিং’ হয়েছে। অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট ভোটারের নাম ২০২৫ সালের তালিকায় রয়েছে কিন্তু ২০০২ সালের তালিকায় তাঁর নিজের নাম নেই, বংশধরের কারও নামও নেই। সূত্রের খবর, সোমবার দুপুর পর্যন্ত যে ৩৮,১০,০৪৪টি ফর্ম ডিজিটাইজড হয়েছিল, তার মধ্যে ‘সেল্ফ-ম্যাপিং’ হিসাবে ১৭,১১,৩৮৩টি। শতাংশের নিরিখে ৪৪.৯১ শতাংশ। ‘প্রোজেনি- ম্যাপিং’ হিসাবে ২০,৩৮,০৪৩টি। শতাংশের নিরিখে ৫৩.৪৯ শতাংশ। ‘নো- ম্যাপিং’ হিসাবে ৬০,৬১৮টি। শতাংশের নিরিখে ১.৫৯ শতাংশ। সূত্রের খবর, ‘নো-ম্যাপিং’ হিসাবে চিহ্নিত ৬০,৬১৮ জন ভোটারের মধ্যে খড়্গপুরেরই (সদর) ১৯,৭৯৯ জন!