• শীতের শুরুতেও কমেনি সাপের উপদ্রব
    আনন্দবাজার | ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • শীতের শুরুতেও কমেনি সাপের ছোবলে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা। অন্য বছর এই সময়ই সাপেরা শীতঘুমে চলে যায়। কিন্তু এ বছর শীতঘুম তো দূর, এখনও প্রায় প্রতিদিনই সাপের কামড়ের ঘটনা ঘটছে। যার জেরে প্রায়শই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল-সহ আশপাশের ব্লক হাসপাতালগুলিতে সাপের কামড়ে আক্রান্তের চিকিৎসার জন্য আসছেন। কেউটে, কালাচ বা চন্দ্রবোড়া সাপের কামড়ের ঘটনা বারবার ঘটছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

    হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত এক সপ্তাহে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে প্রায় কুড়ি জন মানুষ সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে চন্দ্রবোড়া সাপের কামড়ে আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। চিকিৎসকদের দাবি, চন্দ্রবোড়ার কামড়ে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা না হলে মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে। তবে শীত পড়লেও এখনও কেন সাপের কামড় ঘটছে এ বিষয়ে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সমরেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত শীত জাঁকিয়ে পড়েনি। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার কারণে কখনও কখনও বেশ গরমও লাগছে। অন্য দিকে, এবার রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ায় এখনও মাঠঘাটের জল পুরোপুরি শুকোয়নি। ফলে সাপেরা মাঠে বা বাঁধে, যেখানে গর্ত করে থাকতে বেশি পছন্দ করে সেই আশ্রয়স্থল খুঁজে পায়নি।” মূলত এই কারণগুলির জন্যই সাপেরা শীতঘুমে যায়নি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় দেখা মিলছে বিভিন্ন প্রজাতির সাপের।

    তবে চিকিৎসকদের চিন্তা বাড়াচ্ছে চন্দ্রবোড়া সাপের কামড় নিয়ে। স্থানীয়দের বক্তব্য, গত কয়েক বছরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সোনারপুর, বারুইপুর, চম্পাহাটি, পিয়ালি সহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপক হারে বংশবিস্তার করেছে চন্দ্রবোড়া। সমরেন্দ্র বলেন, “অন্য সাপ ডিম দিলেও চন্দ্রবোড়া সরাসরি বাচ্চা প্রসব করে এবং একসঙ্গে অনেকগুলি করে বাচ্চার জন্ম দেয়। ফলে ডিম ফুটে বাচ্চা জন্মানোর তুলনায় সরাসরি প্রসবের ফলে সেগুলি পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছে দ্রুত। এরফলে বংশবৃদ্ধিও তাড়াতাড়ি হচ্ছে।”
  • Link to this news (আনন্দবাজার)