কলকাতার রুফটপ বারগুলিতে গোয়া কাণ্ডের ভয় নেই তো? পরিদর্শনে যা জানা গেল
আজ তক | ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
কলকাতার ছাদ-সংলগ্ন পাব, লাউঞ্জ এবং রেস্তোরাঁগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার বাস্তব চিত্র খতিয়ে দেখতে সোমবার কেএমসি, দমকল এবং কলকাতা পুলিশের একটি যৌথ দল ২০টি প্রতিষ্ঠানে পরিদর্শন চালায়। আর সেখানেই উঠে আসে উদ্বেগজনক তথ্য, বহু রুফটপ পাব, বার নিয়ম মানছে না।
পুরসভার এক অফিসার জানান, আগুন-সংক্রান্ত ঝুঁকি এড়াতে যে ৮৩টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি হয়েছিল, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকটি এখনও ফের খুলতে চেয়ে প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ বন্ডও জমা দেয়নি। পরিদর্শন চলবে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। লক্ষ্য, রাজ্য সরকারের জারি করা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) অনুযায়ী মালিকরা ঠিক মতো সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েছেন কি না তা যাচাই করা।
আগের দুর্ঘটনার পরই কঠোর পরীক্ষা
এপ্রিলে মেছুয়ার একটি হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপরই ৮৩টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে তিন মাসের মধ্যে সমস্ত এসওপি নির্দেশিকা মানার শর্তে তাদের ফের চালুর অনুমতি দেওয়া হয়। গত সপ্তাহান্তে গোয়ার একটি নাইটক্লাবে আগুন লেগে ২৫ জনের মৃত্যু কলকাতায় পরিদর্শনের গতি আরও বাড়িয়েছে।
কী বলছে এসওপি?
বাংলার এসওপি অনুযায়ী, ছাদের শরণার্থী অঞ্চল বা রিফিউজ এরিয়ায় কোনও রকম নির্মাণ একেবারে নিষিদ্ধ। ছাদের অন্তত ৫০% খোলা রাখতে হবে। জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত বেরোনোর রাস্তা ও জলবাহী মই পৌঁছনোর জায়গা দখল করা যাবে না।
প্রথম দিনের পর্যবেক্ষণ
সোমবার বহু প্রতিষ্ঠানে পরিদর্শন করা হয়েছে তাদের মধ্যে ছিল কলকাতার বহু নামী রুপটপ রেস্তোরাঁ। ৩১ দফার একটি চেকলিস্ট অনুযায়ী পরিকাঠামো, সিঁড়ি, ছাদে প্রবেশপথ, অগ্নি নির্বাপণ সংকেত, সবকিছু খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেছেন অফিসাররা।
পরবর্তী পদক্ষেপ
পরিদর্শনে কী ধরা পড়ছে তার ওপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, প্রতিষ্ঠানগুলিকে আরও কিছু সময় দেওয়া হবে কি না, নাকি সম্পূর্ণ এসওপি মানা না পর্যন্ত আবার বন্ধ করে দেওয়া হবে। উৎসবের মরসুম আসন্ন, ফলে বার-পাব-রেস্তোরাঁয় ভিড় বাড়বে। এই সময়েই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দমকলকে আলাদা করে অগ্নি-নিরাপত্তা পরিদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কোথায় ঘাটতি?
কিছু প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই ছাদের অনিয়ম সরিয়ে নিয়ম মেনে চলা শুরু করেছে। তবে একাধিক রেস্তোরাঁ জরুরি আশ্রয়স্থল দখল করে রেখেছে, যা উদ্বেগের বিষয়। এই পরিদর্শন চলবে প্রাথমিকভাবে আগুন-পরবর্তী তালিকাভুক্ত ৮৩টি প্রতিষ্ঠানের ওপর ভিত্তি করে।