সংবাদদাতা, বারুইপুর: জয়নগরের মোয়ার খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। জিআই তকমা পাওয়ার পর কদর আরও বেড়েছে। শীত শুরু হতেই মোয়া বানানো শুরু জয়নগর ও বহড়ুতে। মোয়া বানাতে দক্ষ অনেক গৃহবধূ। তাঁদের মোয়া তৈরির কাজে লাগাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এর ফলে মহিলারা স্বনির্ভর হচ্ছেন। রোজগার বাড়ছে তাঁদের। এখন নিজেদের সংসার সামলে সকালবেলা মোয়ার দোকানে যাচ্ছেন এই এলাকার গৃহবধূরা। তাঁদের বয়স ৩৫ থেকে ৬৫ বছর। বহড়ু ও জয়নগর এলাকার বাসিন্দা।
মোয়া ব্যবসায়ী গণেশ দাস, রঞ্জিত ঘোষ বলেন, পুরুষদের তুলনায় মোয়ার পাক মহিলারা ভালো দিতে পারেন। দ্রুত তৈরি করতে পারেন। তাই তাঁদের কদর। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোয়ার সিজন। পরিণীতা দাস নামে এক গৃহবধূ বলেন, ‘এ সময় আমাদের কিছু বাড়তি আয় হয়। পুরুষরা প্যাকেজিংয়ের কাজ করেন। আমরা মোয়া তৈরি করি। একটি কড়াতে প্রায় ১৬-১৭ কিলো মুড়কি থাকে। তাতে নানা উপাদান দিয়ে মোয়া তৈরি হয়। প্রতি পাকে ৪০ টাকা করে দেওয়া হয় আমাদের। যে পরিমাণ তৈরি করতে পারি সেই অনুযায়ী টাকা পাই।’ গৃহবধূ শ্যামলী মিস্ত্রি বলেন, ‘সকাল আটটার পর কাজ শুরু। চলে দুপুর একটা পর্যন্ত। এই কাজ করে নিজেদের আয় বাড়াতে পারছি।’ আরতি দাস বলেন, ‘এই কাজ করায় সংসারে উপকার হচ্ছে। ঘরের কাজ সেরে চলে আসতে হয় দোকানে। স্বাস্থ্যসম্মত বিধি মেনে মাথায় ক্যাপ বেঁধে কাজ করি।