• রাস্তা সংস্কারে ‘পথশ্রী’র আরও প্রচার চায় রাজ্য
    এই সময় | ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • এই সময়: আগামী বছর বাংলায় বিধানসভা ভোট। তার আগে গ্রামীণ রাস্তা সংস্কারের কথা ভেবে ‘পথশ্রী’ প্রকল্পকে সামনে রেখে উন্নয়নকে তুলে প্রচারে নামতে চলেছে তৃণমূল সরকার। সেজন্য নবান্ন ‘পথশ্রী’ প্রকল্পের শিলান্যাসকে সামনে রেখে প্রান্তিক এলাকায় ন’দফা প্রচারের রূপরেখা তৈরি করেছে। গ্রামের মহল্লায় মহল্লায় ঘুরে বেড়াবে ট্যাবলো, গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে মাইক দিয়ে চালানো হবে এই প্রকল্পের প্রচার। ইতিমধ্যেই রাজ্যের ২২টি জেলায় ৯,১১৪ কিলোমিটার গ্রামীণ পথ ‘পথশ্রী’ প্রকল্পের অধীনে সংস্কার ও নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। নবান্ন সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পগুলি একদিনে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করতে চান। উদ্বোধনের সময়ে স্থানীয় বিধায়ক ও জনপ্রতিনিধিদের নিজের নিজের এলাকায় প্রকল্প স্থানে উপস্থিত থাকতে বলা হবে।

    নবান্নের নির্দেশ, প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতকে স্থানীয় ভাবে সেই এলাকার ‘পথশ্রী’ প্রকল্পের রাস্তা তৈরির জন্য রাজ্য সরকারি উদ্যোগকে ট্যাবলোর মাধ্যমে ও গাড়িতে মাইক লাগিয়ে প্রচার চালাতে হবে। হাটে–বাজারেও ঘুরবে এই সব ট্যাবলো, তাতে বাজানো হবে অডিয়ো ক্যাসেট। এ ছাড়াও এলাকার প্রতিটি বাড়িতে হ্যান্ডবিল বিলি করা হবে। স্থানীয় ভাবে লাগানো হবে হোর্ডিং, ফ্লেক্স, পোস্টারও। যেখানে লেখা থাকবে, ১০০ দিনের গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পের টাকা বন্ধ রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তারপরেও সীমিত ক্ষমতায় রাজ্য সরকার নিজের তহবিল থেকে রাস্তা নির্মাণের কাজে হাত দিয়েছে। লোকাল কেবলেও প্রচার করতে হবে লাগাতার। প্রচারের জন্য অর্থের কোনও অভাব হবে না বলে জেলাশাসকদের জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। প্রতিটি জেলায় সচেতনতা প্রচারে যে বরাদ্দ রয়েছে, তার সবটাই এখানে খরচ করতে হবে।

    সূত্রের খবর, মুখ্যসচিব রাজ্য সরকারের দুই প্রকল্প ‘বাংলার বাড়ি’ আর ‘পথশ্রী’ দেখভাল ও প্রচারে একজন অতিরিক্ত জেলাশাসককে দায়িত্ব দিতে বলেছেন সংশ্লিষ্ট সব জেলাশাসককে। যেখানে ‘পথশ্রী’ প্রকল্পের কাজ চলছে, সেখানে প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য–সহ বোর্ড লাগাতে হবে, যাতে সাধারণ মানুষ বিষয়টি জানতে পারে। সেই বোর্ডে অবশ্যই লিখতে হবে যে এই প্রকল্প রাজ্য সরকারের উদ্যোগেই হচ্ছে।

  • Link to this news (এই সময়)