সন্দেশখালির ঘটনায় খুনের অভিযোগ দায়ের হলো বৃহস্পতিবার। আলিম মোল্লা, নজরুল মোল্লা-সহ আটজনের বিরুদ্ধে ন্যাজাটের রাজবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ভোলানাথ ঘোষ এ দিন তাঁর আইনজীবী কালীচরণ মণ্ডলকে নিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে যান। সেখানেই অভিযোগ দায়ের করেন। তবে অভিযোগপত্রে শেখ শাহজাহানের নাম রয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করতে পারেন পুলিশ সুপার। মিনাখাঁর SDPO কৌশিক বসাক কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও মামলা রুজু হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
২০২২ সালের একটি ধর্ষণ মামলায় নাম রয়েছে শেখ শাহজাহানের। অভিযোগ, সেই মামলার সাক্ষী ভোলানাথ ঘোষ। বুধবার, ১০ ডিসেম্বর বসিরহাট আদালতে সেই মামলার সাক্ষী দিতে যাচ্ছিলেন ভোলানাথ, তাঁর ছেলে সত্যজিৎ ঘোষ (৩২)। বাসন্তী হাইওয়েতে একটি ট্রাক পিষে দেয় তাঁদের গাড়ি। সত্যজিৎ ও তাঁদের গাড়ির চালক শাহনুর আলমের (৩০) মৃত্যু হয়। আহত হন ভোলানাথ।
এই ঘটনায় ভোলানাথের বড় ছেলে বিশ্বজিৎ ঘোষ অভিযোগ তোলেন, জেলে বসেই সমস্ত কিছু প্ল্যান করেন শাহজাহান। এই ঘটনাও তাঁর নির্দেশে হয়েছে বলেই দাবি করেন তিনি। কিন্তু থানায় লিখিত কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি বুধবার রাত অবধি। ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পরে এ দিন পুলিশের দ্বারস্থ ঘোষ পরিবার।
সূত্রের খবর, লাউখালির আলিম মোল্লা বুধবার ট্রাক চালাচ্ছিলেন। অভিযোগপত্রে নাম রয়েছে তাঁর। এ ছাড়াও নজরুল মোল্লা নামে আরও একজনের নাম রয়েছে, যিনি ঘটনার পরে আলিমকে পালাতে সাহায্য করেন। অভিযোগে শেখ শাহজাহানের নাম রয়েছে? বসিরহাট জেলা পুলিশের এক কর্তাকে এ ব্যাপারে ফোন করা হলে তিনি সরাসরি উত্তর না দিলেও বিষয়টি উড়িয়ে দেননি।