আজকাল ওয়েবডেস্ক: গত রবিবার ব্রিগেডে প্যারেড গ্রাউন্ডে দুই প্যাটিস বিক্রেতাকে মারধরের ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। দলীয় কর্মসূচিতে নদিয়ার কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বলেন, “সব ক’টাকে অ্যারেস্ট করেছি। এটা বাংলা, এটা ইউপি নয়।”
প্যাটিস বিক্রেতাদের মারধর-কাণ্ডে ক্ষুব্ধ মমতা বিজেপিকে তোপ দেগে বলেন, “একটা গরিব হকার তাঁর জিনিস বিক্রি করতে গেছে। সব মিটিংয়েই কেউ না কেউ আসে। কেউ চা বিক্রি করেন, কেউ শিঙাড়া বিক্রি করেন, কেউ ঝালমু়ড়ি বিক্রি করেন, কেউ ভেলপুরি বিক্রি করেন তো কেউ বিস্কুট বিক্রি করেন। সেও তাঁর মতো বিক্রি করতে গিয়েছিল। তাঁর মাথায় তখন সেটা খেলেনি যে, আমি এটা বিক্রি করব, না ওটা বিক্রি করব। ধরে মেরেছ। কাল সব ক’টাকে অ্যারেস্ট করেছি। যাঁরা গায়ে হাত দিয়েছিল। এটা বাংলা, এটা ইউপি নয়। এখানে তোমাদের গদ্দারি চলবে না, আর এখানে তোমাদের হুকুমও চলবে না। আর এখানে তোমাদের আদেশও চলবে না।”
প্রসঙ্গত, গত ৭ ডিসেম্বর ব্রিগেডে গীতাপাঠের আয়োজন করা হয়েছিল। আয়োজক সংগঠন ছিল ‘সনাতন সংস্কৃতি সংসদ’। সেখানেই দু'জন প্যাটিস বিক্রেতাকে 'আমিষ' প্যাটিস বিক্রির অভিযোগে বেধড়ক মারধর করেন কর্মসূচিতে আগত কয়েকজন। এমনকি কান ধরে ওঠবসও করানো হয়।
সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও এবং ছবি বিশ্লেষণ করে বুধবার রাতে তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের নাম সৌমিক গোলদার, স্বর্ণেন্দু চক্রবর্তী এবং তরুণ ভট্টাচার্য। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে সৌমিক উত্তর ২৪ পরগণার গোবরডাঙার বাসিন্দা, তরুণ হুগলির উত্তরপাড়া এবং স্বর্ণেন্দু অশোকনগরের বাসিন্দা।
এই ঘটনায় তৃণমূলের তরফ প্রবল নিন্দা করা হয়। অন্যান্য বিরোধী দলগুলি বিষয়টিকে তুলনা করতে শুরু করে মহম্মদ আখলাখ বা দেশের অন্যত্র খাদ্যভ্যাসের কারণে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার সঙ্গে। যদিও বিজেপি ঘটনাটিকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে ব্যক্ত করে।