নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: কে কী খাবে, কে কী পরবে, সেটা ওরা ঠিক করে দেবে? দু’জন প্যাটিস বিক্রেতা প্যাটিস বিক্রি করছিলেন, ওঁদের মেরেছে। ভুলে যাবেন না, এটা উত্তরপ্রদেশে নয়, বাংলা। সবকটাকে গ্রেফতার করেছি। আজ, বৃহস্পতিবার নদীয়ার কৃষ্ণনগরের জনসভার মঞ্চ থেকে ব্রিগেডে প্যাটিস বিক্রেতাদের মারধরের ঘটনায় বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৯ সালের আগেই বিজেপির ঘট উল্টে যাবে বলেও দাবি করেন তিনি। এদিন বিজেপির সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধেও সরব হন নেত্রী। তিনি বলেন, ‘দুর্গাপুজো যখন হয়, তখন মিলেমিশে করি। আপনারা কে? যে ভেদাভেদ করছেন। আমি সবধর্মকে নিয়ে চলতে চাই। সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। বিজেপি নতুন ধর্মের আমদানি করেছে।’তাঁর আরও দাবি, ‘গীতাপাঠ তো আমরা সকলেই বাড়িতে করি। পাবলিক মিটিং করার কী দরকার? দিল্লি থেকে বিজেপি মার্কা কিছু লোককে পাঠানো হচ্ছে বাংলায়। বিজেপির যাঁরা গীতা পাঠ করছেন, তাঁরা আশা করি আমার কথা শুনতে পাচ্ছেন?’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশেই ভারত থেকে পুশব্যাক করা হচ্ছে বাঙালিদের, এমনটাই অভিযোগ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর কথায়, ‘আমাদের দেশে একজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আছেন। উনি ভয়ঙ্কর। এমন কোনও কাজ নেই, উনি পারেন না। ওঁর দু-চোখ দেখলেই বোঝা যায় ভয়াবহ। এক চোখে দুর্যোধন ও অপর চোখে দুঃশাসন।’ এসআইআর নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এখন বলছে দেড় কোটি লোকের নাম বাদ দিতে হবে। এখন শুনছি, যাঁরা ঠাকুরদা-ঠাকুমার নাম দিয়েছেন, তাঁদের হিয়ারিংয়ে ডাকা হবে। আর হিয়ারিং থেকেই নাকি নাম বাদ দেওয়া হবে। কারও নাম বাদ দিলে ধর্না দিয়ে বসে থাকব। যতক্ষণ না নাম না-তুলবে ততক্ষণ ধর্না দেবেন।’