• ব্রিগেডে প্যাটিস বিক্রেতাদের মারধরে চিহ্নিত মূল অভিযুক্ত, বাড়ি ফিরলেও আতঙ্ক কাটেনি রিয়াজুলের
    বর্তমান | ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ ও কলকাতা: গীতাপাঠের ব্রিগেডে গেরুয়াধারীদের হাতে প্রহৃত এক প্যাটিস বিক্রেতা ফিরলেন নিজের বাড়ি। বুধবার সন্ধ্যায় আরামবাগের কেশবপুরে বাড়িতে আসেন শেখ রিয়াজুল। তিনি বাড়ি ফেরায় স্বস্তি পেয়েছে পরিবার। তবে আতঙ্ক কাটেনি। আমিষ প্যাটিস বিক্রির ‘অপরাধে’ তাঁকে মারধর করা হয়েছে। এদিকে, ওই মারধরের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে চিহ্নিত করল ময়দান থানা। পুলিশ সূত্রে খবর, মারধরের ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো দেখে এক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছেন তদন্তকারীরা। তাঁর নাম সৌমিক গোলদার। উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার বাসিন্দা তিনি। গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে যুক্ত তিনি। লালবাজার জানিয়েছে, অভিযুক্তের খোঁজ শুরু হয়েছে। তবে রাত পর্যন্ত অভিযুক্তের সন্ধান মেলেনি।

    বাড়ি ফেরার পর রিয়াজুল ফোনে বলেন, ব্রিগেডে অনেকবার গিয়েছি। বিভিন্ন পার্টির মিটিং, সভায় গিয়ে ব্যবসা করেছি। কোনওদিন এরকম ঘটনা ঘটেনি। সেদিন ব্রিগেডে অনেকেই আমিষ, নিরামিষ প্যাটিস খেয়েছিল। কিন্তু আচমকা কয়েকজন এসে নাম জানতে চায়। তারপর আমিষ প্যাটিস বিক্রি করছি শুনে সমস্ত খাবার উল্টে ফেলে দেয়। মারধর করে। অনেকবার অনুরোধ করলাম। কিন্তু শুনল না। কলকাতাতে ব্যবসা করে খেতে হবে। তাই এখন আতঙ্কে রয়েছি। আমরা গরিব মানুষ। আমাদের সঙ্গে এরকম শত্রুতা না করাই ভালো। বাড়িতে রিয়াজুলের স্ত্রী, দুই ছেলে ও বৃদ্ধ বাবা থাকেন। এক ছেলে কাজের খোঁজে বেরিয়েছেন। ছোটো ছেলে মায়ের সঙ্গে থাকেন। গত রবিবার ব্রিগেড গ্রাউন্ডে স্বামীকে হেনস্তার ভিডিয়ো দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্ত্রী মনোয়ারা বেগম। বুধবার তিনি বলেন, আমরা গরিব মানুষ। খেটে খাই। ভিডিয়োতে স্বামীকে হেনস্তা হতে দেখে আতঙ্কে ভুগছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও ভিডিও দেখেছেন। তিনি যা ভালো বুঝবেন সেটা করবেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ২০ বছর ধরে কলকাতায় রিয়াজুল সাহেব আছেন। ১৫ দিন অন্তর কেশবপুরের বাড়িতে আসেন। পুলিশ সূত্রে খবর, সেদিন দুই প্যাটিস বিক্রেতা আক্রান্ত হন। তাঁদের মধ্যে একজন রিয়াজুল। অন্যজন হলেন মহম্মদ সালাউদ্দিন (৬০)।দু’টি পৃথক মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু ময়দান থানার পুলিশ। ভিডিয়ো দেখে চিহ্নিত করে খোঁজখবর শুরু হয় তদন্তকারীদের। তাতেই প্রকাশ্যে আসা অভিযুক্তের পরিচয়। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় সৌমিক ছাড়া আরও ৩-৪ জন রয়েছেন, যাঁরা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তাঁদেরও খোঁজ চালাচ্ছে ময়দান থানা।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)