জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আজ, বৃহস্পতিবারই SIR-র ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ দিন। কারও নাম বাদ দিলে এবার ধরনায় বসার হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তাঁর সাফ কথা, 'বলছে দেড় কোটি লোকের নাম বাদ দিতে হবে। কারও নাম বাদ দিলে ধরনা দিয়ে বসে থাকব। যত ক্ষণ না নাম না-তুলবে তত ক্ষণ ধরনা দেব'।
SIR-র বাড়তি সময়। আগে জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৪ ডিসেম্বর। পরে সেই সময়সীমা এক সপ্তাহ বাড়িয়ে দেয় কমিশন। সেই বর্ধিত সময়সীমা শেষ হচ্ছে আজ, বৃহস্পতিবার। এরপর আর SIR-র ফর্ম জমা নেওয়া হবে না। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৬ ডিসেম্বর। এদিন কৃষ্ণনগর সভা থেকে নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, 'বিজেপির তাঁবেদারির জন্য আধার কার্ড চলবে? ইয়েস স্যর। বিজেপির আইটি সেলের তৈরি করা তালিকা দিয়ে ভোট করাবেন? যা ইচ্ছে করুন, কিছু করতে পারবেন না। রাজ্যে ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেব না'।
মুখ্যমন্ত্রীর আরও বক্তব্য, এসআইআর নিয়ে বিজেপি সব রকম চেষ্টা করলেও ফল মিলবে না। তাঁর কথায়, 'বিহার পারেনি, বাংলা পারবে'। সঙ্গে পরামর্শ, 'BSF-র ধারেকাছে যাবেন না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এক চোখে দুর্যোধন, অপর চোখে দুঃশাসন'।
এদিকে কমিশন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ৫৭ লাখ ১ হাজার ৫৪৮ ফর্ম সংগ্রহ করা যায়নি। তারমধ্যে মৃত ভোটার ২৪ লাখেরও বেশি। নিখোঁজ ভোটার ১১ লাখেরও বেশি। স্থানান্তরিত ভাটারের সংখ্যা ১৯ লাখেরও বেশি। রয়েছে প্রচুর ডুপ্লিকেট ভোটারও। ফলে চূড়ান্ত তালিকা থেকে বহু ভোটারের নাম বাদ পড়তে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
খসড়ায় নাম বাদ গেল কী হবে?
১৬ তারিখে খসড়া ভোটার তালিকা থেকে যদি কারও নাম বাদ যায়, তাহলে তার নাম ১৪ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা থেকে যে বাদ যাবে এমন কিন্তু নয়। কারণ যদি কেউ কমিশনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে চান, সেক্ষেত্রে আরও ১ সময় দেবে কমিশন। ফলে সুযোগ পাচ্ছেন ভোটাররা।
এখখনওপর্যন্ত এনুমারেশন ফর্ম জমা পড়ার যে হিসেটা সামনে আসছে তাতে মৃত ভোটার বা স্থানান্তরিত ভোটারের সংখ্যা নেহাত কম নয়। ওইসব ফর্ম জমা পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম। ফলে একটি বিরাট সংখ্যক নাম বাংলার ভোটার তালিকা থেকে বাদ যেতে চলেছে।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল কাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ গেল তাদের তালিকাও ১৬ ডিসেম্বর খসড়া তালিকা বের হওয়ার আগে বুথে বুথে টাঙিয়ে দেবেন সংশ্লিষ্ট বিএলও। পাশাপাশি থাকবে নাম কেন বাদ গেল তার ব্যাখ্যাও। বিএলও-রা বিএলএদের সঙ্গে আলোচনা করেই ওই তালিকা প্রকাশ করা হবে। এমনটাই খবর নির্বাচন কমিশন সূত্রে। ফলে খসড়া ভোটার তালিকায় আপনার নাম আছে কিনা তা আগেই জেনে জানতে পারবেন ভোটাররা। পাশাপাশি রাজ্যে ৮০,৬৮১টি বুথেই খসড়া ভোটার তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হবে।