অর্কদীপ্ত মুখোপাধ্যায়: আজই শেষ হচ্ছে SIR এর ফর্ম জমা দেওয়া শেষ দিন। আগে জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৪ ডিসেম্বর। পরে তা এক সপ্তাহ বাড়িয়ে করা হয় ১১ ডিসেম্বর। আশঙ্কা করা হচ্ছে বহু ভোটারের নাম বাদ যাবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা থেকে। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ১৬ ডিসেম্বর।
বিজেপির দাবি, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে অন্তত ১ কোটি মানুষের নাম। অন্যদিকে, তৃণমূলের পাল্টা হুঁশিয়ারি-একজন ভোটারের নামও যেন বাদ না যায়। এখন প্রশ্ন খসড়া ভোটার তালিকায় আপনার নাম থাকবে কিনা। কারণ এনুমারেশন ফর্ম সংগ্রহ করা যায়নি এমন ফর্মের সংখ্যা ৫৭ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে। অসংগ্রহীত ফর্মের সংখ্যা ৫৭ লাখ ১ হাজার ৫৪৮। এর মধ্যে মৃত ২৪ লাখেরও বেশি। নিখোঁজ ভোটার ১১ লাখেরও বেশি। স্থানান্তরিত ভাটারের সংখ্যা ১৯ লাখেরও বেশি। রয়েছে প্রচুর ডুপ্লিকেট ভোটারও। সেই খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ১৬ ডিসেম্বর।
খসড়ায় নাম বাদ গেল কী হবে?
এদিকে, ১৬ তারিখে খসড়া ভোটার তালিকা থেকে যদি কারও নাম বাদ যায় তাহলে তার নাম ১৪ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা থেকে যে বাদ যাবে এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। কারণ যদি কেউ কমিশনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে চান তাহলে তাদের জন্য কমিশন ১ মাসের একটি সময় দিয়েছে। ফলে সুযোগ পাচ্ছেন ভোটাররা।
এখখনওপর্যন্ত এনুমারেশন ফর্ম জমা পড়ার যে হিসেটা সামনে আসছে তাতে মৃত ভোটার বা স্থানান্তরিত ভোটারের সংখ্যা নেহাত কম নয়। ওইসব ফর্ম জমা পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম। ফলে একটি বিরাট সংখ্যক নাম বাংলার ভোটার তালিকা থেকে বাদ যেতে চলেছে।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল কাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ গেল তাদের তালিকাও ১৬ ডিসেম্বর খসড়া তালিকা বের হওয়ার আগে বুথে বুথে টাঙিয়ে দেবেন সংশ্লিষ্ট বিএলও। পাশাপাশি থাকবে নাম কেন বাদ গেল তার ব্যাখ্যাও। বিএলও-রা বিএলএদের সঙ্গে আলোচনা করেই ওই তালিকা প্রকাশ করা হবে। এমনটাই খবর নির্বাচন কমিশন সূত্রে। ফলে খসড়া ভোটার তালিকায় আপনার নাম আছে কিনা তা আগেই জেনে জানতে পারবেন ভোটাররা। পাশাপাশি রাজ্যে ৮০,৬৮১টি বুথেই খসড়া ভোটার তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হবে।
এদিকে খসড়া তালিকায় নাম বাদ গেলে হবে হিয়ারিং। জেলাশাসকের দফতর ওই হিয়ারিং হবে। পঞ্চায়েত অফিস, ব্লক অফিসে ওই হিয়ারিং হবে না। জেলাশাসকের দফতরেই SIR-এর হিয়ারিং হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে আরও খবর, হিয়ারিং এর ওয়েব কাস্টিং করা হবে। এনিয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে রাজ্যের সব ডিইওদের দফতরে।