• অরুণাচলের খাদে ট্রাক, ঘন জঙ্গলে দু’দিন ধরে পড়ে ১৮ মৃতদেহ
    প্রতিদিন | ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশে বড় দুর্ঘটনা (Arunachal Pradesh Accident)। অরুণাচল প্রদেশের হায়ুলিয়াং-চাগলাগাম সড়কের ধারে প্রায় ১ হাজার ফুট গভীর খাদে পড়ে যায় একটি ট্রাক। এই ঘটনায় অসমের তিনসুকিয়া জেলার আঠারো জন শ্রমিকের মৃত্যু হয় এই ঘটনায়।

    ৮ ডিসেম্বর রাতে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনার পর প্রায় দুই দিন ধরে তাঁদের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সেনাবাহিনী, স্থানীয় পুলিশ, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং জেলা প্রশাসন মিলে ব্যাপক অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান শুরু করে। অরুণাচল প্রদেশ পুলিশ এবং প্রতিরক্ষা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ১০ ডিসেম্বর রাতে প্রথম এই খবর জানা যায়। একমাত্র জীবিত ব্যক্তি চিপ্রা জিআরইএফ ক্যাম্পে পৌঁছান।

    জানা গিয়েছে, তিনসুকিয়ার গেলাপুখুরি চা বাগান থেকে ২২ জন শ্রমিককে নিয়ে ট্রাকটি সরু পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ছাগলাগ্রাম থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে, কেএম ৪০-এর কাছে একটি উঁচু পাহাড় থেকে পড়ে যায়। মৃত শ্রমিকদের মধ্যে রয়েছেন বুধেশ্বর দীপ, রাহুল কুমার, সমীর দীপ, জুন কুমার, পঙ্কজ মানকি, অজয় ​​মানকি, বিজয় কুমার, অভয় ভূমিজ, রোহিত মানকি, বীরেন্দ্র কুমার, আগর তাঁতি, ধীরেন চেটিয়া, রজনী নাগ, দীপ গোয়ালা, রামচাবক সোনার, সনাতন নাগ, সঞ্জয় কুমার, করণ কুমার এবং জোনাস মুন্ডা।

    আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় সকলকে একটি নির্মাণস্থলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। একমাত্র জীবিত ব্যক্তির কাছ থেকে সব তথ্য জানার পরে ১১ ডিসেম্বর পূর্ণাঙ্গ অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। স্পিয়ার কোর উদ্ধারকাজ শুরু করে। সেনাবাহিনীর একাধিক অনুসন্ধান দল, জিআরইএফ দল, মেডিকেল ইউনিট, এনডিআরএফ কর্মী, স্থানীয় পুলিশ এবং এডিসি হায়ুলিয়াং এলাকায় পৌঁছান। প্রায় খাড়া পাহাড়ের খাদে বেয়ে দড়ি ধরে নিচে নামেন উদ্ধারকারীরা। এরপরে চার ঘন্টার অনুসন্ধানের পর ঘন জঙ্গলে ঘেরা একটি জায়গা থেকে ট্রাকের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ঘন জঙ্গল এবং পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় রাস্তা থেকে এমনকি হেলিকপ্টার থেকেও জায়গাটির দেখা পাওয়া কঠিন।

    এখনও পর্যন্ত ১৮টি মৃতদেহ খুজে পাওয়া গিয়েছে। তিনসুকিয়ার ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন, উদ্ধারকাজে, তিনসুকিয়া থেকে একটি দল পাঠানো হয়েছিল, এর মধ্যে সার্কেল অফিসার এবং স্থানীয় পুলিশ রয়েছেন। তাঁরা তেজুতে পৌঁছে সমন্বয়ের কাজ করছেন।
  • Link to this news (প্রতিদিন)