• বিয়ের আলোচনার নাম করে ডেকে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে মার, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া খুনে কাঠগড়ায় প্রেমিকার পরিবার
    এই সময় | ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • মনে তখন প্রিয় মানুষকে সারাজীবনের মতো কাছে পাওয়ার রঙিন স্বপ্ন। ইঞ্জিনিয়ারিং দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র জ্যোতি শ্রবণ সাই বিয়ের আলোচনার জন্য প্রেমিকার পরিবারের ডাক পেয়ে হাজির হয়েছিলেন নির্দিষ্ট ঠিকানায়। কিন্তু এই ডাকই যে ডেকে আনবে এমন বিপদ তা ভাবতেও পারেনি কেউ। প্রেমিকার পরিবারের ডাকে বাড়িতে পৌঁছে নৃশংস ভাবে খুন হতে হলো ২০ বছরের এক তরুণকে। এমনই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে তেলঙ্গনার সাঙ্গারেড্ডি জেলায়।

    জানা গিয়েছে, সেন্ট পিটার্স ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছিলেন ছাত্র জ্যোতি শ্রবণ সাই। তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ১৯ বছরের সৃজার। এই সম্পর্ক নিয়ে প্রথম থেকে আপত্তি ছিল সৃজার পরিবারের। বহুবার হুঁশিয়ার করা হয়েছিল শ্রবণকে। কিন্তু সম্প্রতি সৃজার মা-বাবা বিয়ের কথা বলার নাম করে শ্রবণকে বাড়িতে ডেকে পাঠান।

    শ্রবণ ঘনিষ্ঠদের মতে, সৃজার পরিবার থেকে ফোন পেয়ে সে ভেবেছিল বিয়ের কথা বলতে তাকে ডাকা হয়েছে। সেই মতোই নির্দিষ্ট সময়ে সৃজার বাড়ি পৌঁছয় শ্রবণ। কিন্তু সেখানে তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের দাবি, সৃজার মা-সহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য মিলে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে বেধড়ক মারেন ওই তরুণকে। মারধরের জেরে মাথায় ও পাঁজরে গুরুতর আঘাত পান তিনি। এতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

    জানা গিয়েছে, পরিচিতরা আহত তরুণ জ্যোতি শ্রবণকে উদ্ধার করে কুকাটপল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এর পরেই আমিনপুর থানায় খুনের মামলা দায়ের করা হয়। শ্রবণের দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে।

    অন্য দিকে, অভিযোগের ভিত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ক্রিকেট ব্যাট বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সংগ্রহ করা হয়েছে নমুনাও। ঘটনায় কে কে জড়িত তা জানতে তদন্ত করছে পুলিশ। পরিকল্পিত ভাবে ডেকে নিয়ে গিয়ে হামলা চালানো হয়েছিল কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

  • Link to this news (এই সময়)