• ‘হাত কাঁপছিল, ভুল ভাষা ব্যবহার করছিলেন’, শাহ উবাচ নিয়ে খোঁচা রাহুলের
    এই সময় | ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নির্বাচনী সংস্কার থেকে ভোট চুরি— বুধবার সংসদে উত্তপ্ত বাদানুবাদে জড়িয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। শাহের ‘পয়েন্ট বাই পয়েন্ট’ প্রত্যুত্তরের চাপেই বিরোধীরা ওয়াকআউট করে যায় বলে দাবি বিজেপি সাংসদদের। অন্য দিকে, কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের দাবি, ভোট চুরি নিয়ে রাহুল গান্ধীর তোলা প্রশ্নের সঠিক উত্তরই দিতে পারেননি শাহ। তিনি স্বভাবসিদ্ধ ভাবে টেনে এনেছেন নেহেরু জমানার কথা। আরও একধাপ এগিয়ে বৃহস্পতিবার রাহুল বললেন, ‘অমিত শাহ বক্তৃতা দেওয়ার সময়ে মানসিক চাপে ছিলেন।’ বাদানুবাদের সময়ে বুধবার সংসদে একটি কুভাষা (সংসদের বিবরণী থেকে সেটি বাদ দেওয়া হয়েছে) ব্যবহার করেন শাহ, মানসিক অস্থিরতার প্রমাণ সেটাই বলে দাবি রাহুলের।

    এ দিন সংসদের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাহুল বলেন, ‘গতকাল সংসদে অমিত শাহজি খুব নার্ভাস ছিলেন। তাঁর হাত কাঁপছিল, তিনি ভুল ভাষা ব্যবহার করছিলেন। অমিত শাহজি খুব মানসিক চাপে আছেন—যা গতকাল পুরো দেশ দেখেছে।’ সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের আগেই পর পর তিনটি সাংবাদিক বৈঠক করে ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ তুলেছিলেন রাহুল। বিজেপি ও নির্বাচন কমিশনকে এক ছাতার তলায় রেখে তিনি ‘ভোট চুরি’র অপবাদ দেন।

    বুধবার শাহের বক্তৃতা থামিয়ে রাহুল ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ নিয়ে সরাসরি বিতর্কসভায় আমন্ত্রণ জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। এর পরেই দ্বিগুণ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন শাহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্পষ্ট জবাব ছিল, ‘আপনার কথায় সংসদ চলবে না।’ সেই বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাহুল বলেন, ‘আমি যে কথাগুলো বলেছি, সেগুলোর কোনও জবাব তিনি দেননি। কোনও প্রমাণও দেননি। আমি আমার সাংবাদিক সম্মেলন নিয়ে অমিত শাহজিকে সরাসরি বিতর্কের জন্য চ্যালেঞ্জ করেছিলাম— এবং সেটিরও কোনও উত্তর আসেনি।’

    নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে মূলত তিনটি প্রশ্ন সামনে এনেছিলেন রাহুল। প্রথমত, দেশের নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের কমিটিতে তিন সদস্যের মধ্যে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় সরকারের এক মন্ত্রী এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা। বিরোধী দলের একমাত্র সদস্য হিসেবে তাঁর বক্তব্যের কোনও গুরুত্ব থাকছে না। কেন এই কমিটি থেকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে সরানো হলো? দ্বিতীয়ত, কোনও নির্বাচন কমিশনারকে তাঁর ক্ষমতাবলে গৃহীত পদক্ষেপের জন্য কেন শাস্তি দেওয়া যাবে না? তৃতীয়ত, ২০২৩ সালে আনা আইনের ১৬ নম্বর ধারায় নির্বাচন কমিশনারদের ‘সুরক্ষাকবচ’ দেওয়া হয়েছে কেন? এছাড়াও কমিশন কেন সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করবে না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাহুল-সহ বিরোধী দলগুলি।

  • Link to this news (এই সময়)