• ‘এমন ম্যানেজমেন্ট রাখার কোনও দরকার নেই’, উড়ান বাতিলে ইন্ডিগোকে তুলোধনা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
    এই সময় | ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • লাগাতার উড়ান বাতিলের জেরে কার্যত বিধ্বস্ত ইন্ডিগোর পরিষেবা। এক সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়নি। এই অবস্থায় সরাসরি ইন্ডিগোকেই কাঠগড়ায় তুললেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী রামমোহন নাইডু। বৃহস্পতিবার ‘অ্যাজেন্ডা আজতক’-এর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলে দিলেন, ‘এই রকম ম্যানেজমেন্ট রাখার কোনও দরকার নেই।’

    এয়ারলাইন সংস্থা অবশ্য দাবি করেছে, পরিষেবা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। তবে বুধবারও বেশ কিছু বিমান বাতিল হয়েছে বলে অভিযোগ। এ দিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ‘ইন্ডিগোর রস্টারে ভুল ছিল। কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার জন্যই এটা হয়েছে। নতুন FDTL (ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশন) নিয়ম মেনে চললে এই সমস্যায় পড়তে হতো না। কিন্তু তা হয়নি। তাই এত ফ্লাইট বাতিল করতে হলো।’

    ইন্ডিগো বিপর্যয়ের জন্য সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারকেই দায়ী করেছে বিরোধীদের একাংশ। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, ‘একটি সংস্থাকে একচেটিয়া আধিপত্য দিলে এমনটাই হয়।’ FDTL নিয়মেও গলদ রয়েছে বলে দাবি তাঁদের। তবে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘১ নভেম্বর নতুন নিয়ম লাগু হওয়ার পর থেকেই ইন্ডিগোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলাম আমরা। প্রথম কয়েক দিনে কোনও সমস্যা হয়নি। কোনও ফ্লাইটও বাতিল হয়নি।’

    ১ ডিসেম্বর এয়ারলাইন সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল DGCA। সেখানে উপস্থিত ছিল ইন্ডিগো-ও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘কোনও সমস্যা আছে কি না, ইন্ডিগোকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম আমরা। কিন্তু তখনও ইন্ডিগো জানিয়েছিল, সব ঠিক আছে। তার পরেই এই সমস্যা।’

    ইন্ডিগোর ম্যানেজমেন্টকে রীতিমতো তুলোধনা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘সব এয়ারলাইনই নতুন নিয়ম মানছে। কারও কোনও সমস্যা নেই। ইন্ডিগোও বলেছিল, সব ঠিক আছে। এখন যদি তাদের প্রতিদিনের কাজকর্মও আমাদের দেখতে হয়, তা হলে তো মুশকিল। এই রকম ম্যানেজমেন্ট থাকার কোনও মানে হয় না।’

    উল্লেখ্য, গোটা বিপর্যয়ের জন্য ইতিমধ্যেই ক্ষমা চেয়েছেন ইন্ডিগো চেয়ারম্যান বিক্রম সিংহ মেহতা। বুধবার একটি ভিডিয়ো বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘ইচ্ছাকৃত ভাবে এই সংকট তৈরি করা হয়নি। যাত্রী হয়রানির জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।’ তাঁর দাবি, প্রযুক্তিগত সমস্যা, সময়সূচিতে বদল, আবহাওয়ার প্রভাব, নেটওয়ার্ক জ্যাম - সব একসঙ্গে হওয়ার কারণেই এমন সমস্যায় পড়তে হয়। তবে ধীরে ধীরে পরিষেবা স্বাভাবিক হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।

  • Link to this news (এই সময়)