বড় মেয়ে 'বন্দে মাতরম' গানটি পছন্দ করেননি, তখন কী বলেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র? অজানা তথ্য
আজ তক | ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'বন্দে মাতরম' নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা চলছে। এই প্রেক্ষাপটে অ্যাজেন্ডা আজতকে এসে 'বন্দে মাতরম' নিয়ে কথা বললেন সাহিত্য সম্রাটের পরিবারের পঞ্চম প্রজন্মের দুই সদস্য। 'বন্দে মাতরম' লেখার প্রেক্ষাপট কেমন ছিল, কীভাবে তা উপন্যাসে জায়গা পেল ইত্য়াদি দর্শকদের সামনে তুলে ধরেন সজল চট্টোপাধ্যায় ও জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়।
এদিনের অনুষ্ঠানে সজল চট্টোপাধ্যায় জানান, তিনি 'বন্দে মাতরম' রচনা নিয়ে পরিবারের প্রবীণ সদস্যদের কাছ থেকে কী শুনেছিলেন। বলেন, 'বঙ্কিমবাবুকে নিয়ে এই গানটি শুনেছিলাম বাড়ি থেকে। উনি এটি লেখার পর প্রথম দেখিয়েছিলেন বড় মেয়ে শরৎকুমারীকে। তবে তাঁর এটা পছন্দ হয়নি। তিনি গান লেখা সেই কাগজ ফেলেও দিয়েছিলেন। বঙ্কিমবাবু জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তুমি এটা ফেলে দিয়েছ কেন? উত্তরে শরৎকুমারী জানিয়েছিলেন, তুমি যেটা লিখেছ সেটা কেউ পড়বে না। ওটা অকেজো। ওটার জন্য তুমি অসম্মানিত হতে পারো।'
তবে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় 'বন্দে মাতরম' নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। তিনি সেই কথা জানিয়েওছিলেন বড় মেয়েকে। বলেছিলেন, 'আমরা যখন চলে যাব, একদিন মানুষ এটা নিয়ে কথা বলবে। বলবে,বঙ্কিমবাবু কী লিখেছেন!'
'দেশের চেয়ে বড় কেউ নয়'
'বন্দে মাতরম' সম্পর্কে লেখকের আর এক আত্মীয় জয়দীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'ছোটবেলায় বন্দে মাতরম নিয়ে অনেক গল্প শুনেছিলাম। এই গানের প্রশংসা শুনে আমরা বড় হয়েছি। একবার ভাবুন, বঙ্কিমবাবু আমাদের শিখিয়েছিলেন, দেশের চেয়ে বড় কেউ নয়। দেশ আমাদের অস্তিত্বের একটি নাম। এই গানের শক্তি কল্পনা করুন। ফাঁসিতে ঝুলন্ত ব্যক্তির মুখে কোনও দুঃখ ছিল না, ঠোঁটে কেবল বন্দে মাতরম থাকত। আমাদের ঐতিহ্য এমন যে, আমরা বিশ্বাস করি মা হলেন সর্বশ্রেষ্ঠ। বঙ্কিমচন্দ্র আমাদের দেশকে মা হিসাবে বিবেচনা করতে শিখিয়েছিলেন।'